বিশ্বজিৎ দত্ত: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কীনা এ বিষয়টি এখনো পরিষ্কার নয়। তবে জনগণের সামনে নির্বাচনি রাজনৈতিক বক্তব্য তুলে ধরতে এ দলটির হাতে রয়েছে একাধিক এজেন্ডা। এক্ষেত্রে এই প্রথমবারের মতো ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে। বরাবর আওয়ামীলীগ নির্বাচনের আগে একাধিক রাজনৈতিক এজেন্ডা নিয়ে নির্বাচনের মাঠে হাজির হয়। এরমধ্যে অন্যতম ছিল যুদ্ধাপরাধিদের বিচার। বঙ্গবন্ধুসহ পবিারের সকল সদস্যদের হাত্যাকারীদের বিচার। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাস্তবায়ন।
১০ বছর ক্ষমতায় থেকে আওয়ামীলীগ অনেকগুলোই বাস্তবায়ন করেছে। অনেকগুলো বাস্তবায়নের পথে রয়েছে। এ হিসাবে আওয়ামীগের আগের যে রাজনৈতিক এজেন্ডা ছিল তা অনেকটাই আগামীতে কার্যকারিতা হারিয়েছে। এ অবস্থায় আওয়ামীলীগের সামনে রাজনৈতিক এরপর পৃষ্ঠা ২, কলাম
এজেন্ডা নাই বললেই চলে। আওয়ামীলীগ আগামী নির্বাচনে অর্থনৈতিক এজেন্ডাকেই সামনে আনার পরিকল্পনা করেছে বলে তাদের নেতাদের বক্তব্যে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। তারা নির্বাচনের আগে জনগণের সামনে উন্নয়নকেই হাতিয়ার করেছে।
আওয়ামীলীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাধিকবার কর্মী সম্মেলনে বলেছেন, আপনারা আমাদের উন্নয়নকে জনগনের সামনে উপস্থাপন করুন। তিনি এ্ও বলেছেন, আওয়ামীলীগ সরকারের সময় যা উন্নয়ন হয়েছে অতীতে কোন সরকারের সময়ে এমন উন্নয়ন বাংলাদেশের হয়নি।
দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও উন্নয়নকেই গুরুত্ব দিয়ে বক্তব্য রাখছেন। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগের সময়ে দেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। আগামীতে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় গেলে দেশ উন্নত দেশে পরিনত হবে। তিনিও আগামী নির্বাচনে উন্নয়নকেই প্রধান এজেন্ডা করবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন। অন্যদিকে বিএনপির সামনে রয়েছে একাধিক রাজনৈতিক এজেন্ডা। প্রথমতো তারা জনগনের সামেেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে নির্বিাচন, তাদের নেতৃবৃন্দের নামে মামলা ও ভারত বিরোধিতা। এসব রাজনৈতিক এজেন্ডাকে তারা সহজেই সামনে নিয়ে আসতে পারবে।
এ বিষয়ে বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আহমেদ আযম খান বলেন, আমরা প্রথমেই বলছি খালেদা জিয়ার মুক্তি, তারপর নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে নির্বাচন। এগুলো পুরণ হলেইতো নির্বাচনে বিএনপি যাবে। যদি না হয় তবে এ ইস্যুতেই বিএনপি আন্দোলনে যাবে। নির্বাচনে গেলে আমাদের ম্যানিফ্যাস্টুতে আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের কথা আমরা বলবো। তার আগে আমাদের প্রয়োজন রাজনৈতিক এজন্ডা। এটিই আমাদের শক্তি। এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিভিন্ন পর্যবেক্ষক মহলের ধারণা, বাংলাদেশের নির্বাচনে মূলত রাজনৈতিক ইস্যুই প্রধান নিয়ামক হয়। অতিতের নির্বাচনের ইতিহাসগুলো তাই প্রমান করে।আওয়ামীলীগ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে জনগণের কাছে ভোট দাবি করেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসি ভিন্ন রাজনৈতিক দলের লোকজনকেও আওয়ামীলীগের সঙ্গে যুক্ত করতে পেরেছে। এটা তাদেরকে নির্বাচনে জয়ের পক্ষে সহায়তা করেছে। অন্যদিকে বিএনপি এন্টি আওয়ামীলীগ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অবিশ্বাসি ও ভারত বিরোধীদের সহায়তা নিয়েছে। বিএনপির এই শক্তির সঙ্গে খালেদা জিয়ার মুক্তির শ্লোগান ও নিরপক্ষে সরকারের দাবি তাকে নির্বাচনে অধিকতর রাজনৈতিক সুবিধা দিচ্ছে। এদিক থেকে আওয়ামীগের এখন একমাত্র এজেন্ডা সরকারের উন্নয়ন।
আপনার মতামত লিখুন :