মারুফুল আলম : বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শওকত মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির মহাসচিবের গাড়িবহরে হামলার ঘটনাটি নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিব্রতবোধ করেছেন। কিন্তু ইলেকশন কমিশন বিব্রতবোধ করুক এটি আমাদের কাম্য নয়। আমরা চাই, এ্যাকশন হোক। শনিবার এনটিভি’র টকশোতে তিনি আরো বলেন, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার মিটিং করেছেন এবং এর আগে ইলেকটোরাল ইনকোয়ারি কমিটি এলাকায় কাজ করছে না বলে তিনি বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। হয়তো রিপোর্ট পাননি বলেই বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। নির্বাচন কমিশনের এসব ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
তিনি বলেন, বিএনপি মহাসচিবের গাড়িতে হামলার ঘটনাকে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের ক্ষোভ বলে শাসকদলের যে বক্তব্য তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। যেখানে গাড়িবহর আক্রান্ত হয়েছে ওই এলাকায় বিএনপি মহাসচিবের প্রতিদ্ব›দ্বী কোনো মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলো না। তাছাড়া মনোনয়নপ্রশ্নে মহাসচিবের প্রতিদ্ব›দ্বী কেউ হবারও প্রশ্ন ওঠে না। তাই সরকার দলের বক্তব্য অনুযায়ী মনোনয়ন না পেয়ে বিএনপির কেউ হামলা করেছে এটা বিশ্বাসযোগ্য বক্তব্য নয়।
তিনি আরো বলেন, গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে মনোনয়ন নিয়ে ক্ষোভের বহিপ্রকাশ ঘটেছে। তারা ঠাকুরগাঁওয়ে গিয়ে তো হামলা করার কথা নয়। এসব আসলে ভোটারদেরকে উদ্বেগের মধ্যে ফেলে দেয়ার জন্য সুপরিকল্পিতভাবেই করা হচ্ছে। একইভাবে রাঙ্গামাটিতে মহাসচিবের গাড়িতে এবং ফেনীতে বেগম জিয়ার গাড়িতে হামলা হয়েছিলো। এসবের কোন ঘটনার তদন্ত হয়নি, বিচারও হয়নি।
প্রথম থেকে যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড এর কথা বলা হয়েছিলো সেটা এখন লেভেল থেকে আরো ডাউন হয়ে গেছে উল্লেখ করে শওকত মাহমুদ বলেন, আমাদের অভিযোগ নিয়ে নির্বাচন কমিশনার খুব বেশি মাথা ঘামিয়েছেন তা নয়। তিনি এ্যাকশন নেয়ার পরিবর্তে বিব্রতবোধ করেছেন।
দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন হামলা ও হতাহতের ঘটনায় তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, এসব কারণে ভোটারদের মধ্যে প্রভাব পড়ছে এবং ভোটকেন্দ্রে নিরাপদে ভোট দিতে পারবে কি না ভোটারদের মধ্যে ইতোমধ্যে আশংকা সৃষ্টি হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :