শিরোনাম
◈ রাতে বাংলামোটরে জুলাই পদযাত্রার গাড়িতে ককটেল হামলা (ভিডিও) ◈ যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি শুল্ক মোকাবেলায় বাংলাদেশের চার দফা কৌশল ◈ বিআরটিএর মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন নিয়ে কঠোর নির্দেশনা ◈ সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় গ্রেপ্তার ◈ শ্রীলঙ্কার বিরু‌দ্ধে অবিশ্বাস্য ব্যাটিং ধসে বাংলাদেশ হার‌লো ৭৭ রা‌নে ◈ ২০ বছরেও অধরা এমআই-৬'র ভেতরের রুশ গুপ্তচর! (ভিডিও) ◈ নারী ফুটবলের এই অর্জন গোটা জাতির জন্য গর্বের: প্রধান উপদেষ্টা ◈ প্রবাসীদের জন্য স্বস্তি: নতুন ব্যাগেজ রুলে মোবাইল ও স্বর্ণ আনার সুবিধা বাড়লো ◈ একযোগে ৩৩ ডেপুটি জেলারকে বদলি ◈ 'মধ্যপ্রাচ্যে সিলেট-ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লোকেরা ঘোষণা দিয়ে মারামারি করে' (ভিডিও)

প্রকাশিত : ০৭ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৫:৩২ সকাল
আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৫:৩২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আজ ৮ ডিসেম্বর পলাশবাড়ী হানাদার মুক্ত দিবস

আরিফ উদ্দিন, পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) : আজ ৮ ডিসেম্বর। পলাশবাড়ী হানাদার মুক্ত দিবস। আজকের এইদিনে ঘাতক পাক হানাদার বাহিনী এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় ভাবে দিনটি বড়ই বেদনা বিঁধুর। হানাদার বাহিনী পতনের পর এলাকার সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে মুক্তির উল্লাস।

আনন্দে উদ্বেলিত কন্ঠে বিজয় উৎসবের কাফেলা 'জয় বাংলা'-'জয় বাংলা' ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠেছিল পলাশবাড়ীর আকাশ বাতাস। সেদিনের অনেকেই আজ বেঁচে নেই। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে অধিকাংশই পরলোকগত। পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের হাতে কত মানুষ নিহত হয়েছে। কত মা-বোনের ইজ্জত লুণ্ঠিত হয়েছে তার সঠিক তথ্য কেউ জানে না। হানাদার বাহিনী কথা বলতো বায়োনেট দিয়ে এবং হাসতো মেশিনগানের ব্রাশফায়ারে মানুষের বুকে গুলি চালিয়ে তাজা রক্ত ঝড়িয়ে।

মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪৮ বছরে নির্দিষ্ট কিছু স্থান ছাড়া বহু গণকবর ও বধ্যভূমি এখন নিশ্চিহ্ন প্রায়। ইতিমধ্যেই বহু গণকবর ও বধ্যভূমির নাম নিশানা মুছে ফেলা হয়েছে। সেখানে গড়ে উঠেছে আবাদি জমি ছাড়াও স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ দালান-বাড়ি। অযত্নে-অবহেলায় অনেক গণকবর আজ বন-জঙ্গলে ঢাকা পড়েছে। দিন-মাস-বছর ও যুগ পেরিয়ে গণকবরগুলো নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে লোক চক্ষুর অন্তরালে।

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ স্থানীয় পিয়ারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পাকিস্তানী হানাদার প্রতিরোধ নামে একটি কমিটি গঠন করা হয়। গোটা মার্চ মাস জুড়ে পলাশবাড়ী এলাকা ছিল উত্তাল। এই উত্তাল দিনগুলোতে পাকবাহিনী বীর সেনাসহ ৫ শতাধিক নারী-পুরুষ ও শিশুকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। পাকবাহিনী সেদিন পাবনা জেলার ঐতিহ্যবাহী নারিন্দা উচ্চ বিদ্যালয়ের তৎসময়ের প্রধান শিক্ষক গর্বিত পিতা আব্দুল আজিজ ও মাতা ফাতেমা বেগম দম্প্রতির বীর দামাল সন্তান লেপ্টে: রফিককে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। পার্শ্ববর্তী ভারতে এলাকার অসংখ্য নর-নারী শরনার্থী হয়ে প্রবেশ করেছিল। তৎকালিন সময়ে ২ কোটি টাকা মূল্যের বাড়ী-ঘর জ্বালিয়ে দেয়াসহ বিভিন্ন সম্পদ বিনষ্ট করেছিল।

পাকবাহিনীর নানা শিঁহরিত ও লোমহর্ষক হত্যাযজ্ঞ চালানোর এক পর্যায়ে সেদিন পলাশবাড়ী এলাকা পাক হানাদার মুক্ত হয়। ১৬ ডিসেম্বর জাতীয় মহান বিজয় দিবসটিকে স্মরণীয়-বরণীয় করে রাখতে পলাশবাড়ী উপজেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডসহ স্বাধীনতা পক্ষের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবি সংগঠনগুলো পৃথক পৃথক ভাবে বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করেছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়