শিরোনাম
◈ রাজধানীর খিলগাঁওয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা ◈ নারায়ণগঞ্জে দেশীয় অস্ত্রসহ ৯ ডাকাত গ্রেপ্তার ◈ রাজধানীতে যেসব এলাকায় আজ গ্যাস থাকবে না ◈ টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বরেকর্ড: ২৬১ তাড়া করে জিতল পাঞ্জাব ◈ আজ শুরু হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা  ◈ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ◈ খিলগাঁওয়ে ছাদ থেকে পড়ে শিশুর মৃত্যু ◈ ৯ মে পর্যন্ত বন্ধ চুয়েট: সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে ফের আন্দোলনের ডাক শিক্ষার্থীদের  ◈ দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করতে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান  ◈ ভারতে লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় ভোট পড়েছে ৬০.৭ শতাংশ

প্রকাশিত : ০৫ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৮:১৫ সকাল
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর, ২০১৮, ০৮:১৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নির্বাচনী তদন্ত কমিটিকে সক্রিয় হওয়ার তাগিদ সিইসির

সাইদ রিপন: নির্বাচনী তদন্ত কমিটিকে সক্রিয় হওয়া তাগিদ দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা। সিইসি বলেছেন, ইলেক্ট্রোরাল ইনকোয়ারি কমিটির সদস্যদের দিকে সারা জাতি তাকিয়ে থাকেন নির্ভরতার দৃষ্টিতে। ইলেক্ট্রোরাল ইনকোয়ারি কমিটির সদস্যদের হতে হবে ‘প্রএকটিভ ও ভাইব্রেট’। কমিটির সদস্যদের সজাগ ও সতর্ক উপস্থিতি নির্বাচনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আপনাদের কাছে ভোটার, প্রার্থীরা আসবেন সমস্যা বলবেন। আপনারা সমাধান দেবেন।

বুধবার (৫ ডিসেম্বর) অাগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে ইলেক্ট্রোরাল ইনকোয়ারি কমিটির সদস্যদের উদ্দেশ্যে ব্রিফিং উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ইলেক্ট্রোরাল ইনকোয়ারি কমিটির সদস্যদের ভিজিবল হতে হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত আপনারা ভিজিবল না। আপনারা কাজের মাধ্যমে তা এখনও করতে পারেন নি। সুযোগ হয় নি। এখনো গুছিয়ে উঠতে পারেন নি। আমাদের কাছে শত শত অভিযোগ আসছে। অথচ ওই অভিযোগ গুলো আমাদের কাছে না এসে আপনাদের কাছে যাবার কথা ছিল।

নূরুল হুদা বলেন, তাদের(ইলেক্ট্রোরাল ইনকোয়ারি কমিটির সদস্য) উপর দায়িত্ব পড়েছে, যারা সংসদ পরিচালনা করবেন তারা কিভাবে নির্বাচিত হন, তা দেখার। নির্বাচনী আচরণ বিধি দেখভালের সুযোগও। বিচারকদের দায়িত্ব অত্যন্ত সংবেদনশীল ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সিইসি বলেন, ইলেক্ট্রোরাল ইনকোয়ারি কমিটির অর্থ হচ্ছে নির্বাচন পূর্ববর্তী কমিটি। ৩০০ আসনের পূর্ববর্তী পরিস্থিতি, অনিয়ম দেখার জন্য ১২২টি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আচরণ বিধির ১৭ ধারায় বিচারকদের দায়িত্ব বলে দেয়া হয়েছে।

এর আগে ২০০৮ সালের নির্বাচনে প্রথম ইলেক্ট্রোরাল ইনকোয়ারি কমিটি গঠন করা হয়। এরপর ২০১৪ সালের নির্বাচনে ইলেক্ট্রোরাল ইনকোয়ারি কমিটি কাজ করে। তবে এবারই প্রথম ভালভাবে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে।

তিনি বলেন, এতে স্পষ্ট যে, আপনাদের সাথে ভোটারদের ও প্রার্থীদের পরিচয় নেই। পরিচিতি না হবার কারণে যে কোনো অভিযোগ সরাসরি নির্বাচন কমিশনে আসছে। আপনাদের কাছে যাচ্ছে না। এটা প্রত্যাশিত ছিল না। অভিযোগ আপনাদের কাছে যাবে। অভিযোগ শুনবেন। ব্যবস্থা নেবেন। আপনাদের তদন্ত প্রতিবেদনে কোনো প্রার্থী তার প্রার্থীতা হারাতে পারে। যিনি আপনাদের কথা শুনবেন না, তাদের বিরুদ্ধে পেনাল কোডে ১৯৩ ধারা মতে ৭ বছরের জেল হবে, মিথ্যে তথ্য দিলে ও আদেশ না মানলে ২২৮ ধারায় তাদের বিচার হবে।

সিইসি বলেন, কোড অব সিভিল প্রসিডিউর এর ১৯০৮ এর সম্পূর্ণ শক্তি দিয়ে মাঠে শক্ত অবস্থান নেবার কথা বলা হয়েছে। এই মাঠ আপনাদের চেম্বারের বাইরে। একে বারে প্রার্থী, ভোটার ও সমস্যার মুখোমুখি। আচরণ বিধি যারা লঙ্ঘন করবে তাদের মুখোমুখি। এটা অন্যরকম একটা দায়িত্ব। প্রত্যেকটা মানুষের ও সমস্যার কাছাকাছি থাকার ব্যবস্থা করা।

তিনি বলেন, ইনকোয়ারি কমিটির সদস্যদের ‘প্রএকটিভ ভাইব্রেট’ হতে হবে। ৩০০ আসনে ১২২ টি জায়গায় আপনাদের এরিয়া ভাগ করে দেয়া হয়েছে। সেখানে লোকজন আপনাদের কাছে সমস্যা উপস্থাপন করলে সমাধান দেবেন। আমরা আশা করেছিলাম। গত ২৫ নভেম্বর ইনকোয়ারি কমিটি গঠনের পর অত্যন্ত ১২২ টি তদন্ত করার কথা ছিল হয় নি। ২২টিও হয় নি। তবে হবে। আপনারা এবার ফিরে গিয়ে মানুষের অভিযোগ শুনবেন, সমাধান দেবেন। মানুষকে যেন ঢাকা পর্যন্ত আসতে না হয়।

নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন অাহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নির্বাচন কমিশনের কমিশনার মাহবুব তালুকদার মো. রফিকুল ইসলাম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদাত হোসেন চৌধুরী(অব:) ও নির্বাচনী প্রশিক্ষন ইন্সটিটিউটেরর মহাপরিচালক মোস্তফা ফারুক।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়