সারোয়ার জাহান : ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্যোগে বুধবার (২১ নভেম্বর) ২০১৮ বিকেল ৪টায় ধানমন্ডিস্থ ডেফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মিলনায়তন ৭১ এ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ও ইসলামি ঐক্য সপ্তাহ (১২-১৭ রবিউলআউয়াল) উপলক্ষে ‘মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) : রহমত, শান্তি ও বন্ধুত্বের নবী’ শীর্ষক এক আলোচনা অনুষ্ঠান ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধানঅতিথি হিসেবেউপস্থিত ছিলেন সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির ভাইসচ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ.এন.এম মেশকাতউদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইরান দূতাবাসের পলিটিক্যাল অ্যাটাসে জনাবমাহদী তোরাবী মেহরাবানী। সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও ইসলামি সহ-যোগিতা সংস্থা (ওআইসি)-এর আন্তর্জাতিক ইসলামি ফিকাহ একাডেমির বাংলাদেশস্থ স্থায়ী প্রতিনিধি ড. আবদুল্লাহ আলমারুফ।
স্বাগত বক্তব্য উপস্থাপন করেন ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কালচারাল কাউন্সেলর ড. সাইয়্যেদ মাহদী হোসেইনী ফায়েক। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকাস্থ নূর-এমদীনা মসজিদের খতিব মাওলানা শেখ মুখতার রেযামাসুমী ও বিশিষ্ট ইসলামি গবেষক জনাব আবদুল কুদ্দুস বাদশা।
বক্তাগণ বলেন, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) উত্তম চরিত্র ও সমস্ত সৃষ্টি কুলের জন্য রহমত স্বরূপ হওয়ায় তিনি সর্বকালের সমস্ত মানুষের জন্য আদর্শ। সর্বোত্তম ও সব চেয়ে পরিপূর্ণ মানুষ হিসাবে মানবতার জন্য তিনি সবচেয়ে বেশি দয়ালু, আন্তরিক ও সহানুভূতি শীল ছিলেন। তাঁর মহিমা ও মহানুভবতা এমন পর্যায়েছিল যে, মহান আল্লাহ তাঁকে মহৎগুণ ও উত্তম চরিত্রের অধিকারী হিসাবে প্রশংসা করেছেন।
বক্তাগণ আরো বলেন, বর্তমান সময়ে বিশ্ব শান্তির বিষয়টি যখন ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে তখন রাসূলের জীবন থেকে শান্তির বার্তা নিয়ে আলোচনার প্রয়োজনীয়তা স্পষ্ট হয়ে উঠছে। রাসূলের জীবনীর প্রতি দৃষ্টিদিলে এই বাস্তবতাই স্পষ্ট হয় যে, ইসলামের পথে মানুষকে আহ্বান এবং শান্তিপূর্ণভাবে ইসলামের বিস্তৃতি ও গোমরাহী থেকে মানুষকে মুক্তি দেয়াই ছিলো রাসূলের প্রধান কাজ।
অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিকপর্বে দলীয়ভাবে নাত-এ রাসূল পরিবেশন করেন আল-মুস্তাফা আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ শাখার একদলছাত্র এবং একককণ্ঠে নাত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট শিল্পী জনাব শাহ নওয়াজ তাবীব, জনাব মেহেদীহাসান ও জনাব আলী মোহাম্মদ মেহেদী হোসেন।
আপনার মতামত লিখুন :