নিজস্ব প্রতিবেদক : অলিম্পিক বাছাইপর্বে খেলার অভিজ্ঞতাটাই অনেক বড় করে দেখছেন ফুটবল কর্মকর্তারা। তাছাড়া নেপালের সঙ্গে প্রথমবারের মতো ড্র করে বেশ নজর কেড়েছে দেশের সিনিয়র মেয়েরা। ঐ ম্যাচের আগে বড় হারের স্বাদ নিতে হয়েছে কৃষ্ণাদের। আসন্ন সাফ গেমসের আগে অলিম্পিক গেমসে বাছাইপর্বে নেপালকে রুখে দিয়ে বেশ উজ্জ্বীবিত সাবিনা-স্বপ্না-কৃষ্ণারা।
আগামী মাসেই শ্রীলঙ্কায় বসবে মেয়েদের মূল দলের সাফ গেমস। সেখানে অলিম্পিকের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চান দলের প্রধান কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। তিনি বলেন, ‘অলিম্পিকে আমাদের এই তরুণ দলটা অনেক কিছু শিখেছে। নেপালকে সিনিয়র পর্যায়ে রুখে দিয়েছি। এই দলটাই এক সময় ভালো করবে। সাফেও এই ধারা বজায় রাখতে চাই আমরা।’
বয়সভিত্তিক পর্যায়ে সাফল্যের পর সাফল্যে বয়ে নিয়ে আসা দেশের মেয়েরা সিনিয়র পর্যায়ে ব্যর্থতার তালিকাটা বেশ ভারী। ২১ মাস পর মাঠে নেমে সিনিয়র দল মুদ্রার উল্টো পিঠটা দেখে নিয়েছে। মিয়ানমারের পর ভারতের কাছে বিধ্বস্ত হয়েছে খুবই নাজুকভাবে। তবে এই মারিয়া-আঁখিরা সিনিয়র পর্যায়ে একটা সময় ভালো করতে পারে।
ডিসেম্বরে সিনিয়র সাফ খেলতে শ্রীলঙ্কা যাবে ঐ জুনিয়র দলই। যেখানে আছে মারিয়া, আঁখি, স্বপ্না ও কৃষ্ণারা। সাফের প্রস্তুতি হিসেবে মিয়ানমারে অলিম্পিক গেমস বাছাইপর্বকে টার্গেট করেছিল ছোটনের শিষ্যরা। এখানকার অভিজ্ঞতাই সাফের সম্বল বলে মনে করছেন ফুটবল সংশ্লিষ্টরা।
আসন্ন সিনিয়র সাফে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ নেপাল, ভুটান ও পাকিস্তান। ১৭ ডিসেম্বর ভুটানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ। ১৯ তারিখে পাকিস্তান ও ২১ ডিসেম্বরে নেপালের সঙ্গে খেলবে গ্রুপ পর্বের ম্যাচ।
আপনার মতামত লিখুন :