শিরোনাম
◈ ভুয়া জুলাই শহীদ-যোদ্ধাদের নাম তালিকা থেকে বাদ, জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় ◈ কুয়াকাটা সৈকত থেকে আবারও অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার ◈ আদমদীঘিতে ভাঙা রেললাইনে কম্বল গুঁজে ১৮ ঘন্টা ট্রেন চলাচল ◈ জুলাই আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করতে হলে সব ধর্মের মানুষকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা  ◈ ব্যক্তি বিবেচনায় এলএনজি কেনা হচ্ছে না, পিটার হাসের কোম্পানি প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা ◈ বিসিএস পরীক্ষা: কর্মসূচির সময় পরিবর্তন করল জামায়াত ◈ চশমা ছাড়াই স্পষ্ট দেখা সম্ভব, কার্যকর আই ড্রপ উদ্ভাবন ◈ যেসব বিষয়ে গুরুত্ব পাচ্ছে নতুন বেতন কাঠামোতে  ◈ আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা থেকে ইসরা‌য়েল‌কে বহিষ্কারের দাবি জানা‌লেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী ◈ কূটনৈতিক সংকট ছাপিয়ে বাণিজ্যে ভারত–বাংলাদেশের পারস্পরিক নির্ভরশীলতা বাড়ছে

প্রকাশিত : ১০ নভেম্বর, ২০১৮, ১১:৪২ দুপুর
আপডেট : ১০ নভেম্বর, ২০১৮, ১১:৪২ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কমছে শিশুর সংখ্যা

অনলাইন ডেস্ক : বৈশ্বিক জন্মহার উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। ২০১৭ সালে বৈশ্বিক জন্মহার দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ৪ শতাংশ। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বের অর্ধেক দেশেই জনসংখ্যা স্থিতিশীল রাখার মতো শিশুর জন্ম হচ্ছে না। চিকিৎসা সাময়িকী দ্য ল্যানসেটের এক গবেষণাবিষয়ক নিবন্ধে এ তথ্য উঠে এসেছে।

ল্যানসেট বলছে, গবেষণায় যে তথ্য পাওয়া গেছে, তা বিস্ময়কর। তরুণ জনগোষ্ঠীর তুলনায় প্রবীণের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার একটা গভীর প্রভাব পড়বে সমাজে। ১৯৫০ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন দেশের জনসংখ্যার ধারা পর্যালোচনা করে এই গবেষণাবিষয়ক নিবন্ধ প্রকাশ করেছে ল্যানসেট।

গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বে ১৯৫০ সালে নারীপ্রতি সন্তান জন্মদানের হার ছিল ৪ দশমিক ৭। গত বছর তা কমে হয়েছে ২ দশমিক ৪। তবে দেশভেদে আসলে ব্যবধানটা অনেক বেশি। পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারে জন্মহার ৭ দশমিক ১ শতাংশ। অন্যদিকে সাইপ্রাসে গড়ে একজন নারী সারাজীবনে একটির বেশি সন্তান নেন না।

এই পরিস্থিতিতে যদি বিশ্বের জন্মহার ২ দশমিক ১ শতাংশ থেকে কমে যায়, তা হলে মোট জনসংখ্যা কমতে শুরু করবে। উন্নত দেশগুলোয় জনসংখ্যা স্থিতিশীল রাখতে হলে অন্তত ২ দশমিক ১ শতাংশ জন্মহারের প্রয়োজন হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও গবেষণাপত্রের মূল লেখক ক্রিস্টোফার মারি বলেন, ‘আমরা এমন চরম মুহূর্তে পৌঁছেছি, যেখানে অর্ধেক দেশের জন্মহার এতই কম যে পুনঃস্থাপন হবে না। তাই কিছু না ঘটলে এসব দেশের জনসংখ্যা কমতে শুরু করবে। এটা আসলে খুবই উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন।’

বর্তমানে জনসংখ্যার নিম্নহার সমস্যায় ভুগছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ। যেমন জার্মানি, লাটভিয়া। জাপানের নিম্ন জন্মহার তো এখন সরকারের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অন্যদিকে ১৯৫০ সালে চীনের জন্মহার ছিল ব্যাপক। ফলে জনসংখ্যা ৫০ কোটি থেকে বেড়ে ১৪০ কোটিতে পৌঁছে যায়। এর পর জন্মহার কমাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয় সরকার। ২০১৭ সালে চীনের জন্মহার ১ দশমিক ৫ শতাংশ। এমন অবস্থায় এক সন্তাননীতি থেকে সরে এসেছে দেশটি। সূত্র : আমাদের সময়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়