নূর মাজিদ : সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি এবং নাগরিকদের ভোক্তা চাহিদা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে অর্থনীতির ৫ দশমিক ১৭ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে ইন্দোনেশিয়া। এই সময় দেশটির অর্থনীতি নানামুখী বাহ্যিক চাপ মোকাবেলা করে এই প্রবৃদ্ধি অর্জনে সমর্থ হয়েছে। দেশটির সাম্প্রতিক গড় দেশজ উৎপাদনের এই প্রবৃদ্ধির হার অবশ্য বাজার বিশেষজ্ঞদের দেয়া পূর্বাভাষকেও আংশিক ছাড়িয়ে গিয়েছে। বাজার পূর্বাভাষে দেশটির ৫ দশমিক ১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির ধারণা করা হয়েছিল। তবে তৃতীয় প্রান্তিকে ইন্দোনেশিয়ার সরকারের নির্ধারিত ৫ দশমিক ২০ শতাংশ করতে সমর্থ হয়নি দেশটির অর্থনীতি।
দ্বিতীয় প্রান্তিকে দেশটির মুল্যস্ফিতি নিয়ন্ত্রণে থাকার কারণে তৃতীয় প্রান্তিকে তা দেশটির ভোগ্যপণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি এবং ক্রেতাদের খরচ করার প্রবনতার ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। ২০১৮ সালে দেশটির গড় মুল্যস্ফিতির পরিমাণ ৩ দশমিক ২ শতাংশ হয়েছে, যা ২০১৭ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে ছিলো ৩ দশমিক ৯১ শতাংশ। দ্বিতীয় প্রান্তিকে দেশটির সরকার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে নিজেদের খরচ ৬ দশমিক ২৮ শতাংশ বৃদ্ধি করে। যার সুফল তৃতীয় প্রান্তিকে পরিলক্ষিত হচ্ছে। সরকারি ব্যয় বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে দেশটির আবাসন ও অবকাঠামো নির্মাণখাতের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ৭৯ শতাংশ, বিভিন্ন সেবাখাতের প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ২৬ শতাংশ, কৃষিখাতের প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৬২ শতাংশ এবং শিল্পখাতে ৪ দশমিক ৩৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এই সকল খাতে প্রবৃদ্ধির কারণে দেশটির বৈদেশিক বাণিজ্যে বাণিজ্য ঘাটতির ফলে সৃষ্ট বাড়তি চাপ কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছে বলে জানায় দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক। থিঙ্ক আইএনজি
আপনার মতামত লিখুন :