শিরোনাম
◈ দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে নতুন অস্থিরতা ◈ হ‌্যান্ড‌শেক না করায় অপরাধ হিসা‌বে ভারতের ম‌্যাচ ফি ৫০ ভাগ একং ২‌টি ডি‌মে‌রিট প‌য়েন্ট জ‌রিমানা হ‌তে পা‌রে ◈ এআই, কোয়ান্টাম ও নিউক্লিয়ার এনার্জিতে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের বড় চুক্তি ◈ উগ্রপন্থা, সীমান্ত অচলাবস্থা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা—বাংলাদেশসহ পাঁচ প্রতিবেশীকে ‘হুমকি’ মনে করছে ভারত ◈ আবারও ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ ◈ আরব আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান  ◈ অবশেষে কমল সোনার দাম ◈ মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে চার সংগঠনকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ঘোষণা করল যুক্তরাষ্ট্র! ◈ সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বাংলাদেশকে জাতিসংঘের চিঠি ◈ ডাকসুতে ভোট কারচুপির অভিযোগে সিসিটিভি যাচাই, উঠে এলো যে তথ্য

প্রকাশিত : ২৫ অক্টোবর, ২০১৮, ০৯:৫৮ সকাল
আপডেট : ২৫ অক্টোবর, ২০১৮, ০৯:৫৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

প্রথম কর্মসূচিতেই সরকারের মাথা ধরেছে : ঐক্যফ্রন্ট

সাব্বির আহমেদ : দল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একাদশ জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে শান্তিপূর্ণ ও সফলভাবে নিজেরদের প্রথম কর্মসূচি পালন করলো জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

বুধবার পুণ্যভূমি সিলেটের রেজিস্টারী মাঠে নাগরিক ঐক্যের সমন্বয়ে গঠিত সরকারবিরোধী এ জোট জনসভায় ব্যাপক লোকের সমাগম ঘটে। ওইদিন সকালে মাজার জিয়ারত, বিকেলে ছোট মাঠে বড় জনসভা- পুরো বিষয়টি ঐতিহাসিক দেখছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

জোটের নেতারা বলছেন, সমাবেশের আগের রাতে পুলিশের ব্যাপক ধর-পাকড় উপেক্ষা করেও আশানুরূপ লোকসমাগম হয়েছে। লোকারণ্য হয়েছে সিলেটের রেজিস্টারী মাঠ।

বৃহস্পতিবার সিলেট থেকে ঢাকায় ফিরে সমাবেশ পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় এই প্রতিবেদককে এসব কথা বলেন জোটের শীর্ষ নেতারা।

প্রথম কর্মসূচি ঘোষণার পর থেকে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা সিলেটের ওই জনসভাকে তাদের সাত দফা দাবি আদায়ের টার্নিং পয়েন্ট মনে করেছিলেন। সেখান থেকে নতুন বার্তা দেওয়ার কথাও বলেছিলেন তারা, এমন বাস্তবতার সবার চোখ ছিল সিলেট জনসভায়।

বুধবারের সমাবেশ নিয়ে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক ও ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, 'আমরা আগে থেকেই ধারণা করেছি, সিলেট সমাবেশে প্রচুর লোক হবে। হয়েছেও তাই। প্রত্যাশার চেয়ে বেশি হয়েছে। নেতাকর্মীদের ধরপাকড়ে লাভ হয়নি। সিলেটবাসী দেখিয়ে দিয়েছি। গণমাধ্যমে জাতি দেখেছে জনসভায় কেমন লোক হয়েছে। সরকারের মাথা ধরেছে'।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের মতে সমাবেশে লোকসমাগম দেখে সরকারের মাথা নষ্ট হয়ে গেছে। তারা অসন্তুষ্ট। সরকার চেয়েছিল, আমাদের জনসভায় যাতে লোক না হয়। এর জন্য তারা সকল চেষ্টাই করেছে, কিন্তু লাভ হয়নি। সরকার আশাহত হয়েছে। সমাবেশের আগের রাতে পুলিশ আমাদের নেতাকর্মীদের বাসায় বাসায় হানা দিয়েছে।

অনেককেই গ্রেফতার করছে। বাস আটকিয়ে তল্লাশি করেছে। আওয়ামী লীগ ওইদিন ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশে পাশে পাল্টা দুইটা সভার আয়োজন করে ভীতি সৃষ্টি করেছে। এতোকিছুর পরেও রেজিস্টারী মাঠ জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে।

গণফোরামের কার্যকরী আইনজীবী সভাপতি সুব্রত বড়ুয়া বলেন, 'সরকার কোনও ভাবেই সমাবেশে লোক সমাগম ঠেকাতে পারেনি। কর্মসূচির প্রথমেই ঐতিহাসিক সমাবেশ। পুণ্যভূমি সিলেট থেকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের যাত্রা শুরু হল।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী মতে, সরকারের চোখে ছানি পড়েছে, তাই তারা সমাবেশের লোকারণ্যকে লোক মনে করবে না। সিলেটবাসী জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে আশাবাদী করে তুলেছে।

সিলেট জনসভায় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা বক্তব্য রাখেন। বলেন,আন্দোলনের মাধ্যমেই তাদের দাবি আদায় করা হবে। তাই বক্তারা এই ঐক্যকে আরও সুসংহত করতে গ্রামে গ্রামে ছড়িয়ে দেওয়ার কথা বলেছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়