শিরোনাম
◈ বিএনপিকে চাপে রাখতে জামায়াতের যুগপৎ আন্দোলন ◈ এই সরকারও পুরোনো পথে, প্রশাসনে পদ ছাড়াই পদোন্নতি ◈ এ‌শিয়া কাপ, রা‌তে আফগানিস্তা‌নের মু‌খোমু‌খি বাংলাদেশ ◈ ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম: হিজাব–নন-হিজাব, সবার পোশাক ও পরিচয়ের সমান অধিকার নিশ্চিত হবে ◈ সঙ্কটে এশিয়া কাপ! দা‌বি না মান‌লে, প‌রের ম‌্যাচ আরব আ‌মিরা‌তের বিরু‌দ্ধে খেল‌বে না পাকিস্তান ◈ হ্যান্ডশেক বিতর্কে এবার মুখ খুললেন সৌরভ গাঙ্গু‌লি ◈ নেতানিয়াহুর পাশে আমেরিকা, লক্ষ্য হামাস ধ্বংস: রুবিও ◈ বিনা পাসপোর্টে ভারতে যাওয়া ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করল বিএসএফ ◈ ম‌তের মিল হ‌চ্ছে না,  জামায়াতের সাথে এনসিপির দূরত্ব তৈরি হয়েছে যে সব কারণে ◈ মৌলভীবাজারে উদ্ধার হওয়া ‘পিট ভাইপার’: কতটা বিষধর এই সবুজ বোড়া?

প্রকাশিত : ২৫ অক্টোবর, ২০১৮, ০২:১৪ রাত
আপডেট : ২৫ অক্টোবর, ২০১৮, ০২:১৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গ্রেপ্তারে কী উগ্রতা ও অভদ্রতার অবসান হবে?

অজয় দাশগুপ্ত, সিডনি, অস্ট্রেলিয়া থেকে: অবশেষে গ্রেপ্তার হয়েছেন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। তাকে গ্রেপ্তার করাটা ছিলো সমাজের জন্য মঙ্গলের। এমনকি যারা তাকে সমর্থন করেন তাদের জন্যও। বিশ্বাস না হলে সম্প্রতি ফাঁস হওয়া ফোনালাপটা শুনুন। কেমন অবজ্ঞা আর ঠাট্টার ছলে বলে দিলেন দেশের নাকি নব্বই শতাংশ মানুষ তাকে সমর্থন করে। যার ভিত্তি জাতীয় একটি দৈনিকের জরিপ। কোনো জরিপ কেন হয় বা কীভাবে করা হয় সে আমাদের অজানা নয়। তাছাড়া যে দৈনিকটি তা করেছে তার চরিত্রও আমাদের অজানা নয়। এরা বাংলাদেশে কী চায়, কীভাবে চায় সেটা এক-এগারো থেকেই প্রকাশ্য। কিন্তু সেটাও ব্যাপার না।

বিষয় হলো যে মইনুল হোসেন বিএনপিকে দেশশাসনে আনার জন্য, আওয়ামী লীগকে হটানোর জন্য মরিয়া তিনিই তাচ্ছিল্য করে বলছেন, তারেককে হটানোর জন্যই নাকি ড. কামাল হোসেনকে নেতৃত্বে এনেছেন তারা। এরপরও এই মানুষকে বিশ্বাস করা যায়? তার কথাগুলো শুনতে শুনতে আমাদের চাটগাঁর এক বদমেজাজি উগ্র স্বাধীনতাবিরোধীর কথা মনে পড়ছিলো। কথায় কথায় থ্রেট দিতেন। দন্ত বিকশিত কুৎসিত হাসিতে দেশ, স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অশ্লীল কথা বলতেন। গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার পর ব্যঙ্গ করে বলেছিলেন, তাকে ধরে রাখার মতো কারাগার নাকি তৈরি হয়নি এখনো। নাই হয়ে যাওয়া সেই স্বাধীনতা বিরোধীর নতুন প্রতিচ্ছবি এই ব্যারিস্টার যখন ফাঁদে পড়লেন তখন আমরা কী করলাম?

আমাদের প্রগতিবাদী নারী লেখক দেশত্যাগী তসলিমা নাসরিন উসকে দিলেন নতুন বিবাদ। এই ধরনের অবিশ্বাস বা কলহ আমাদের দীর্ণ করলেও এর যেন শেষ নেই। নারীদের যখন সম্মান আর মর্যাদা দেওয়ার জন্য মানুষ মনস্থির করছে তখন এমন কিছু সত্যি বেদনার। তবে সময় আর চাহিদা বলে যে কথা তার দিকে তাকিয়ে বলতে হবে, আপাতত আমরা দানবের শেষ চাই। কাউকে অন্যায়ভাবে সাজা দেওয়া নয়, পূর্বাপর বিচারে এমন ঔদ্ধত্য আর অপমানের শেষ চাই। যারা সমাজের সামনে থাকবেন, নেতা হবেন তাদের আচরণ হোক সংযত। তাদের কথা বলা, লেখা হোক শ্লীল আর গঠনমূলক। নয়তো কোনো গ্রেপ্তারই আমাদের সমাধান দিতে পারবে না।

শেখ হাসিনাকে আমরা কত কারণে সমালোচনা করি। অথচ সময়মতো তিনি সত্য বলতে সবসময় অগ্রগামী। এবারও তাই দেখলাম। তিনি চমৎকারভাবে বললেন, ইংরেজদের কাছ থেকে কেবল খাবার বা রান্নাটা শিখে আসলে হয় না। তাদের সভ্যতা ভদ্রতা আচরণ এটিকেটটাও শিখে আসতে হয়। সেটা যারা শেখেননি তাদের কাছে দেশ বা সমাজ নিরাপদ হতে পারে না। মন ও বিবেকের তফাৎ যারা বোঝেন না তাদের হাতে দেশ বা সমাজ জমা রেখে কতদূর যেতে পারবো আমরা? নতুন প্রজন্মই-বা কি শিখছে এসব দেখে?

লেখক : কলামিস্ট ও বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়