শিরোনাম
◈ পিআর পদ্ধতি কী, কেন প্রয়োজন ও কোন দেশে এই পদ্ধতি চালু আছে?" ◈ ইসরায়েলি হামলায় ৪৩৭ ফুটবলারসহ ৭৮৫ ফিলিস্তিনি ক্রীড়াবিদের মৃত্যু ◈ পশ্চিম তীরে দখলদার ইসরায়েলিদের সাথে তাদেরই সেনা জড়ালো সংঘর্ষে! (ভিডিও) ◈ আমদানি-রপ্তানিতে এনবিআরের নতুন নিয়ম: বাধ্যতামূলক অনলাইন সিএলপি দাখিল ◈ জুলাই স্মরণে শহীদ মিনারে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বলন (ভিডিও) ◈ জুলাই বিদ্রোহ: কোটা সংস্কার থেকে গণঅভ্যুত্থান ◈ ভারতের বাংলাদেশ সফর নিয়ে যা বললেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল ◈ ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, ক্যাডার পদে মনোনয়ন পেলেন ১৬৯০ জন ◈ ১৮ জুলাই নতুন দিবস ঘোষণা ◈ ডিসি-এসপি কমিটি ও ইভিএম বাদ, ভোটকেন্দ্র স্থাপনে নতুন নীতিমালা জারি করলো ইসি

প্রকাশিত : ২৪ অক্টোবর, ২০১৮, ০৪:০৬ সকাল
আপডেট : ২৪ অক্টোবর, ২০১৮, ০৪:০৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অহংকারকে চিরতরে বিদায় জানাতে হবে

আমিন মুনশি : অহংকার মানে নিজেকে বড় মনে করা। হাদিস শরিফের ভাষায়, ‘সত্য প্রত্যাখ্যান করা ও মানুষকে তুচ্ছ মনে করার নাম অহংকার।’ ইমাম গাজ্জালি (রহ.) বলেন, ‘নিজেকে বড় মনে করা এবং নিজের মর্যাদাকে অন্যের মর্যাদার ঊর্ধ্বে মনে করাই হলো অহংকার।’ অহংকারীকে সৃষ্টিকর্তাসহ কেউই পছন্দ করেন না। হজরত লোকমান আ. তাঁর পুত্রকে যে উপদেশ দিয়েছিলেন তার বর্ণনা দিয়ে আল্লাহ পাক বলেন, ‘অহংকারবশে তুমি মানুষকে অবজ্ঞা করো না এবং পৃথিবীতে গর্বভরে পদচারণ করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ কোনো দাম্ভিক-অহংকারীদের পছন্দ করেন না।’ (সুরা লোকমান : ১৮)

আল্লামা রাগেব ইস্পাহানী (রহ.) এর মতানুসারে, ‘অহংকার হলো কোনো ব্যক্তি নিজেকে অন্যের চেয়ে বড় ও মহৎ মনে করা এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে আসা সত্য গ্রহণ না করে ইবাদতে অনীহা পেশ করা।’ অহংকার করা হারাম। ইমাম যাহাবি (রহ.) বর্ণনা করেন, অহংকার কবিরা গোনাহর অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ তায়ালা অহংকারীদের আবাসস্থলকে নিকৃষ্ট হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। আল্লাহর বাণী, ‘আর অহংকারীদের আবাসস্থল কতই না নিকৃষ্ট।’ (সুরা আন নাহল : ২৯)

অহংকার মানুষের জন্য শোভা পায় না। শুধু আল্লাহর জন্যই এটি শোভনীয়। হাদিসের ভাষ্য মতে, ‘হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সা. এরশাদ করেন, আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘অহংকার আমার চাদর এবং শ্রেষ্ঠত্ব। অতএব, যে ব্যক্তি এগুলি নিয়ে আমার সঙ্গে টানাটানি করবে, আমি তাকে দোজখে ফেলব। অন্য এক বর্ণনায় রয়েছে, তাকে দোজখের আগুনে নিক্ষেপ করব।’ (মুসলিম)

অহংকার করার কারণে মহান রাব্বুল আলামিন শয়তানকে জান্নাত থেকে বের করে দিয়েছেন। আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহ বললেন, আমি যখন নির্দেশ দিয়েছি, তখন তোকে কীসে সেজদা করতে বারণ করল? সে বলল : আমি তার চেয়ে শ্রেষ্ঠ। আপনি আমাকে আগুন দ্বারা সৃষ্টি করেছেন এবং তাকে সৃষ্টি করেছেন মাটির দ্বারা। বললেন, তুই এখান থেকে যা। এখানে অহংকার করার কোনো অধিকার তোর নেই। অতএব তুই বের হয়ে যা। তুই হীনতমদের অন্তর্ভুক্ত।’ (সুরা আল আ’রাফ : ১২, ১৩)

আমাদের সবার আদর্শ, প্রিয় নবী সা. জীবনের কোনো কালে, কোনো প্রহরে আত্মঅহমিকায় নিমজ্জিত হননি; বরং তিনি সরিষা পরিমাণ অহংকার থাকলে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না বলে সতর্কবাণী করেছেন। হাদিস শরিফে এসেছে, ‘হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সা. এরশাদ করেন, যার অন্তরে সরিষা পরিমাণ অহংকার থাকবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।’ (মুসলিম)।

অতএব, জান্নাতে প্রবেশ করার ইচ্ছা থাকলে অবশ্যই অহংকারকে চিরতরে বিদায় জানাতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়