রফিক আহমেদ : বাম জোটের শরিক দলের নেতা ড. কামাল হোসেনের ঐক্য প্রক্রিয়ায় যোগ দেয়ায় জোটের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। রোববার বাম জোটের নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে এ তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি’র) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, নাগরিক সমাবেশে আমাদেরকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। আর আমন্ত্রণ জানালে কেনই বা আমরা যাব। আমরা আমাদের কাজ করছি। বাম জোটের কোন শরিক দলের কেউ নাগরিক সমাবেশে গেলে সেটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। সে ব্যাপারে আমরা কিছু বলতে পারি না। আমরা এখন বাম জোটের বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছি।
বাম জোটের সমন্বয়ক সাইফুল হক বলেন, নাগরিক সমাবেশে বাম জোটের নেতৃবৃন্দের যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা ছিল না। বাম জোটগতভাবে শরিকদের নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। যদি কোনো দল যেয়ে থাকে দলীয় বিবেচনায় গিয়েছে। ঐক্য প্রক্রিয়ার সঙ্গে আমাদের জোট করার কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে, সম্পর্ক গড়ে উঠার বিষয়টি ভবিষ্যতই বলে দেবে। এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট করে এখনো বলার সময় আসেনি।
গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু বলেন, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার উদ্যোক্তা ড. কামাল হোসেন বাম জোটের সমন্বয়ক সাইফুল হককে জানিয়েছেন তিনি আমাদের সঙ্গে বসে কিছু বলতে চান। বাম জোটের পক্ষ থেকে বসা হয়নি। এই বসাটাই ছিল রাজনৈতিক। জোনায়েদ সাকি ব্যক্তিগত উদ্যোগে ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। আমি কোনভাবেই এটা মেনে নিতে পারি না।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, আমরা যার যার দলীয় অবস্থান থেকে জাতীয় সনদ পেশ করেছি। সরকার সমঝোতার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে আন্দোলন ছাড়া বিকল্প নেই। বাম জোট দীর্ঘদিন ধরে সংঘর্ষ ও সংঘাতের রাজনীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে। নাগরিক সমাবেশে ড. কামাল হোসেন সমঝোতার জন্য আহবান জানিয়েছেন। আমরা আমাদের অবস্থান থেকে আন্দোলন করছি। বাম জোটের আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় জাতীয় সংকটে ড. কামাল হোসেনের আমন্ত্রণ সাড়া দিয়েছি এবং ঐক্য প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছি।