আশরাফুল নয়ন,নওগাঁ : নওগাঁয় বাজারে উঠতে শুরু করেছে গ্রীষ্মকালীন আগাম শিম। ফলনে কম হলেও ভাল দাম পেয়ে খুশি চাষীরা। এ কারণে প্রতি বছরেই এ অঞ্চলে বাড়ছে শিমের আবাদ।তবে আগাম শিম চাষে পোকার আক্রমণ দেখা দেয়ায় লাভের একটি অংশ চলে যাচ্ছে কীটনাশক কোম্পানিগুলোর পকেটে।
জানা গেছে, কৃষকরা প্রতি বছর নিজেরা শিম চাষের জন্য বীজ সংরক্ষণ করে রাখেন। সংরক্ষণ করা বীজ আগাম গ্রীষ্মকালীন শিম চাষে ব্যবহার করেন। আগাম শিম চাষ লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা প্রতি বছরই চাষ করে থাকেন। শীতকালীন আগাম শিম ফলনে কম হলেও বাজারে ভাল দাম পাওয়া যায়। প্রতি কেজি শিম পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা কেজি দরে। প্রথমে ফলন একটু কম হলেও, পরবর্তীতে ফলন বেশি হয়। যখন ফলন বেশি হয় তখন আর আগের মতো দামও পাওয়া যায় না।
শীতের আগাম শিমে এ পোকার আক্রমণ বেশী হয়। চাষীরা বিভিন্ন প্রকারের কীটনাশক ব্যবহার করলেও এর কোন সুফল পাচ্ছেনা। অনেক কৃষক শিমকে পোকার হাত থেকে রক্ষা করতে আগ থেকেই কীটনাশক স্প্রে করছেন। এতে বাড়তি খরচ গুণতে হচ্ছে চাষীদের। কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতা পেলে আগামীতে শিমের আবাদ আরো বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন চাষীরা।
কৃষক আফাজ উদ্দিন বলেন, ১০ কাঠা জমিতে আগাম শিমের আবাদ করেছেন। প্রায় পাঁচ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। এখনো শিম উত্তোলন শুরু করতে পারিনি। আগাম শিমের আবাদ করায় পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। বাজারে এখন শিমের ভাল দাম আছে। কিন্তু যখন বেশি পরিমাণ শিম উত্তোলন শুরু হবে তখন আবার দাম কমে যাবে।
চাঁদপুর গ্রামের কৃষক হানিফ বলেন, গাছের ডগায় পঁচানি দেখা দিয়েছে। এছাড়া পোকায়ে শিম ছিদ্র করে ফেলছে। কৃষি অফিসের কোন লোককে মাঠে না পেয়ে কীটনাশকের দোকান থেকে দোকানীর পরামর্শে কীটনাশক কিনে স্প্রে করা হচ্ছে। পোকা দমনে বিভিন্ন কীটনাশক স্প্রে করা হলেও কোন প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছেনা। ফলে কীটনাশক কিনতে লাভের একটি অংশ চলে যাচ্ছে।