সাব্বির আহম্মেদ: মহানগর নাট্যমঞ্চে শনিবার সন্ধ্যায় জাতীয় ঐক্যপ্রক্রিয়ার নাগরিক সমাবেশে প্রধান অতিথি যুক্তফ্রন্ট চেয়ারম্যান ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক এ.কিউ.এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বক্তব্য:
১) এই সরাকারের কাছে জনগণের প্রশ্ন, যে স্বাধীনতা আনতে লক্ষ লক্ষ মানুষ শহীদ হয়েছে, লক্ষ লক্ষ মা-বোনকে ইজ্জত দিতে হয়ে্ছে, এর মূল্যবোধ কোনো পদদলিত? এই প্রশ্ন জনগণের এই সরকারের কাছে।
২) দিন-রাত প্রতিটি ঘন্টা নিয়ে, আতংকে কোনো থাকবে মা-বোনেরা, শংকায় থাকবে গুম, রাহাজানি নিয়ে, কেনো পুলিশ, র্যাব, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অপরাধীদের ছাড় দিবে?
৩) কেনো ঘুষ দুর্নীতিকে ‘স্পীড মানি’ বলে সরকারিকরণ করা হলো? সমস্ত জাতির নৈতিকতাবোধকে পদদলিত করা হলো? এই অধিকার কে দিয়েছে আপনাদের?
৪) নিরাপদ সড়কের দাবিতে কঁচি-কিশোরদের রাস্তায় নামতে হবে কেনো, কেনো, কেনো?
৫) কেনো কোটা সংস্কারের পক্ষে আমাদের আদরের ধন মেধাবী ছাত্রদের কেনো আন্দোলন করতে হবে? মেধাবী ছাত্রদের কি অপরাধ? কেনো তাদের গুন্ডা দিয়ে, হাতুড়ি, চাপাতি দিয়ে আক্রমণ করা হবে, এর জন্যই কি স্বাধীনতা?
৬) কেনো আপনাদের অপরাধের প্রতিবাদে কথা বলার জন্য সভা-সমাবেশ করার জন্য পুলিশের অনুমতি নিতে হবে? অথচ আপনারা যখন, তখন, যত্রতত্র সভা সমাবেশ করতে পারেন। কেনো, কেনো?
৭) কেনো আমার ভোট আমি দিতে পারবো না? ভোটের অধিকারকে কেনো দলীয়করণ করা হলো। সারা পৃথিবীতে ইভিএম পরিত্যাক্ত, ইভিএম কেউ চায় না। কেনো আপনাদের সুবিধার জন্য ইভিএম গ্রহণ করতে হবে?
৮) কেনো সরকারি কর্ম্চারীদের দলীয়করণ করা হলো? কেনো তাদের সবসময় ভয়ভীতির মধ্যে রাখা হচ্ছে, কেনো , কেনো?
৯) কেনো স্বাধীন দেশের মা-বোনদের ও শিশুদের উপর নির্যাতন হচ্ছে, কেনো, কেনো?
১০) আমাদের রাষ্ট্র তুমি কোথায়? আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধের সঙ্গী আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র কোথায়? কেনো গঙ্গার পানি পাবো না, কেনো বন্ধু রাষ্ট্র তিস্তার পানি দিবে না, কেনো, কেনো, কেনো?
এখন রুখে দাঁড়ানোর সময়, এখন অধিকার আদায়ের সময়। প্রতিবাদের কণ্ঠ ধারালো করতে হবে।
১) গণতন্ত্রের স্বপক্ষ শক্তির সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
২) স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তির সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
৩) একটি স্বেচ্ছাচারী, গণতন্ত্রবিরোধী সরকার গত ১০ বছরে যে উদাহরণ সৃষ্টি করেছে, এমনি আবারো একটি অনুরূপ সরকারের ঝুঁকি আমরা নিতে পারি কি? সংসদে, মন্ত্রিসভায়, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য সৃষ্টি করতেই হবে। না হলে স্বেচ্ছাচারমুক্ত বাংলাদেশের নতুন অধ্যায় সৃষ্টি করা যাবে না।
৪) আমার পবিত্র স্বাধীনতার বিরুদ্ধে, আমার পবিত্র পতাকার বিরুদ্ধে, লক্ষ , লক্ষ মানুষের রক্তে ভেজা, লক্ষ মানুষের চোখের পানিতে ভেজা এই মাটির বিরুদ্ধে যারা ছিল, যারা আছে তাদের সাথে ঐক্য করবো না।
শুধুমাত্র ষাধীনতার স্বপক্ষ শক্তিকে সাথে নিয়ে ভারসাম্যের ভিত্তিতে জাতীয় ঐক্য বেগবান হতে পারে।
আমরা বিভিন্ন গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, ব্যক্তি এবং বিএনপির সাথে আলোচনা করছি। আশা করি ফলপ্রসূ হবে।