আহমেদ জাফর: শরীয়তপুরের নড়িয়া ও জাজিরা উপজেলায় কয়েকযোগ ধরেই পদ্মানদীর ভাঙনের কবলে পড়ছে এই এলাকার বাসিন্দারা কিন্তু বছরের পর বছর নদী ভাঙন আরো তিব্র হচ্ছে। এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ায়নি কোনো এমপি-মন্ত্রীরা এজন্য মন্ত্রিসভার সদস্যদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য নিদের্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
গতকাল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভার উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন। শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলা এবং উত্তরাঞ্চলের পদ্মার ভাঙনে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বিপদের সময় মানুষ সহায়তা ও আশ্রয় চায়। এ সময় তাদের পাশে দাঁড়ানো প্রয়োজন। মন্ত্রিসভার সদস্যদের কাছে জানতে চেয়েছেন কে কে নড়িয়া গিয়েছে। এ সময় চুপচাপ ছিলেন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা।
পাশাপাশি এখন থেকে ভাঙনকবলিত এলাকার ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে সহায়তা নিয়ে দাঁড়াতে স্থানীয় মন্ত্রী এমপিসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
জানা গেছে, নদী ভাঙনের ভয়াবহতা বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে কেউ না জানায়নি। এজন্য নদী ভাঙনকবলিত এলাকার এমপি, জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীসহ এর সঙ্গে সম্পৃক্ত সবার উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভাদ্র মাস সবে শেষ হলো। ভাদ্র মাসে নদীর পানিতে টান ধরে। এ সময় নদী ভাঙনের ঘটনা ঘটে প্রাকৃতিক ভাবেই। তবে কোন এলাকায় নদী ভাঙন হবে, তা আগে থেকে বোঝা যায় না। তারপরও দেশের যেসব এলাকার নদী ভাঙনকবলিত হিসেবে আগে থেকে চিহ্নিত রয়েছে, সেসব এলাকায় নদী ভাঙন রোধে পূর্বপ্রস্তুতি নেয়া উচিত ছিল। কিন্তু সে রকমভাবে কোনো প্রস্তুতি নেয়া হয়নি কেন। এজন্য তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য সরকারের পক্ষ থেকে আর্থিকসহ সব ধরনের সহায়তা দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের গ্রতি নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে শরীয়তপুরের নড়িয়া ও জাজিরা উপজেলাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় গত কয়েক মাস ধরে ব্যাপক নদী ভাঙনের ঘটনা ঘটেছে। পদ্মানদীর ভাঙনে জাজিরার থানার. কুন্ডেরচর ইউনিয়ন,বিলাসপুর ইউনিয়ন, পালেরচর ইউনিয়ন, নড়িয়া থানার কেদারপুর, মোক্তারের চর ইউনিয়ন ও নড়িয়া পৌরসভা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নড়িয়া উপজেলার স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিসহ প্রায় ১৫ হাজার ৮১টি পরিবার । আরো ঝুঁকিতে রয়েছে ৮ হাজার পরিবার। জাজিরা উপজেলায় স্কুল কলেজ,মসজিদ মাদ্রাসাসহ প্রায় ২৫ পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে। এখনো হাজার হাজার পরিবার ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :