মেহেরপুর জেলার বিভিন্ন গ্রামের পিছিয়ে পড়া ৫২ জন কৃষক ডিচ পদ্ধতিতে কুচিয়া মাছ চাষ করছে। সদর উপজেলার গুচ্ছগ্রাম, বাড়িবাকা, উজ্জলপুর, বৈকুন্ঠপুর সহ মুজিব নগরের কয়েকটি গ্রামে কুচিয়া চাষ বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়েছে। পল�ী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে স্থানীয় সামাজিক সংগঠন দারিদ্র বিমোচন সংস্থা (ডিবিএস) কুচিয়াচাষ করছে। প্রাকৃতিক উপায়ে কুচিয়ার বংশবিস্তারের সুযোগ এবং পরিবার ভিত্তিক কুচিয়া খামার স্থাপনের মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানে ৫২ জন দরিদ্র কৃষককে বাছাই করে তাদের এ মাছ চাষে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। কৃষকরা তাদের দেখানো পথে উদ্বুদ্ধ হয়ে শুরু করেছেন
কুচিয়া মাছ চাষ। ইতোমধ্যে কুচিয়া রফতানি করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন।গুচ্ছ গ্রামের তাহাজ উদ্দিন, দেলোয়ার হোসেন, বাড়িবাকা গ্রামের আঃ সামাদ এবং উজ্জলপুর গ্রামের ইয়াসিন আলী কুচিয়া চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন। মেহেরপুরের গাংনী উপজেলাতেও বাণিজ্যিকভিত্তিতে কুচিয়া মাছ চাষ হচ্ছে। কুচিয়াচাষী ফকরুল ইসলাম জানান, ১২ বাই ২৪ ফুটের একটি ডিচ তৈরি করে প্রাকৃতিক পুকুরের পরিবেশ চাষ করা হচ্ছে। প্রতিটি ডিচ খনন, কুচিয়া মাছের পোনা বাবদ খরচসহ ৬ মাস খাবার দিয়ে সব মিলিয়ে একটি ডিচে খরচ হবে ১৫ থেকে ১৬ হাজার টাকা। ৬ মাস শেষে খরচ শেষে স্থানীয় বাজারে ৩শ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেই আনুমানিক ৫০ হাজার টাকা লাভ হবে। তিনি আরও জানান স্থানীয় আড়ৎদাররা ১২শ টাকা কেজি দরে ঢাকার ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে। এ মাছের প্রধান খাবার হচ্ছে জীবন্ত পোকা-মাকড় এবং ছোট ছোট মাছ।
মেহেরপুর জেলা মৎস্য বীজ উৎপাদন খামারের ব্যবস্থাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামন মানিক জানান, কুচিয়া মাছ একটি চমৎকার খাদ্যমান সম্পন্ন সুস্বাদু মাছ। আন্তর্জাতিক বাজারে যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে, দেশের আদিবাসী এলাকার মানুষের মধ্যে এই মাছের ব্যাপক চাহিদা। দারিদ্র বিমোচন সংস্থার (ডিবিএস) নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ জাফর হোসেন জানান, পলি� কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের আর্থিক সাপোর্টে তিন বছর মেয়াদে ৫২ জন চাষিকে নিয়ে এই প্রকল্পের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এসব কুচিয়া বিভিন্ন দেশে রফতানি করা হচ্ছে। বাসস
আপনার মতামত লিখুন :