শিরোনাম
◈ পারস্পরিক শুল্ক সংকট: চূড়ান্ত দর-কষাকষিতে বাংলাদেশ ◈ আরব আমিরাতের আবুধাবিতে প্রবাসী বাংলাদেশির ভাগ্যবদল: লটারিতে জিতলেন ৮০ কোটি টাকা ◈ ২৪ ঘণ্টায় গাজায় নিহত ১১৮, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পর্যালোচনায় হামাস ◈ ‘মব এবং জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হলে কঠোর পদক্ষেপ নেবে সেনাবাহিনী’ ◈ হোটেলে নারীকে মারধর করা বহিষ্কৃত যুবদল নেতার বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তারের চেষ্টায় পুলিশ ◈ বনানীর জাকারিয়া হোটেলে ঢুকে নারীদের ওপর যুবদল নেতার হামলা, ভিডিও ◈ দাঁড়িপাল্লা প্রতীকসহ জামায়াতের নিবন্ধন পুনর্বহালের গেজেট প্রকাশ ◈ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও শহীদ দিবস পালনের নির্দেশ ◈ তিন দিনের ছুটিতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা, পাবেন না যারা ◈ উচ্চ ও নিম্ন আদালতকে ফ্যাসিস্টমুক্ত করতে হবে: সালাহউদ্দিন

প্রকাশিত : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০৩:৫৬ রাত
আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০৩:৫৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

এমন বই ছুঁয়ে থাকাও গর্বের, আনন্দের

প্রতীক ইজাজ : সিক্রেট ডকুমেন্টস অব ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অব দ্য নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ভলিউম ওয়ান (১৯৪৮-১৯৫০)

বঙ্গবন্ধু, তার রাজনীতি, সে সময়- সব নিয়ে স্বাধীনতার ইতিহাসের এ এক অকাট্য দলিল। এর মধ্য দিয়ে আরও বেশি পরিস্ফুট এই দেশ মানুষ ও স্বাধীনতার জন্য বঙ্গবন্ধুর অবিস্মরণীয় অবদান। এ দেশের স্বাধীনতার জন্য বঙ্গবন্ধুকে সারাটা জীবন কতটা সংকটময় পথ ও সময় পাড়ি দিতে হয়েছে, নিত্যদিন কী অবর্ণনীয় কষ্ট সইতে হয়েছে, কতটা যাতনার জীবনযাপন করতে হয়েছে এই বই সে সবেরই সবাক গল্প; উদাহরণ।

পুরোটা পড়া হয়নি এখনো। পড়া হবে বলেও মনে হয় না। বইটা হাত নিলে সামনে এগোতে পারি না। পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা উল্টাই। শব্দগুলো ছবি হয়ে যায়। ফুল হয়ে যায়। ভেসে উঠেন বঙ্গবন্ধু। কখনো মোটা ফ্রেমের চশমা, কখনো চকিত চাহনি, কখনো সংসারে স্বজন পরিবৃত। আমার পড়া হয় না। ছবির মতো, মুগ্ধ হয়ে, আমি শুধু বঙ্গবন্ধুকে দেখি।

সেদিন বইটা অফিসে নিয়ে গিয়েছিলাম। সহকর্মীদের দেখানোর জন্য। এমন বই দেখতে পারাটা সৌভাগ্যের। এর স্পর্শ, গন্ধও আনন্দে, অহংককারে উল্লসিত করে, গর্বিত করে। এমন বই সংগ্রহে রাখা, পড়া, বহন করা, ছুঁয়ে ছুঁয়ে থাকাটাও ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকা।

এই বইটি শুধু পড়ার নয়; উপলব্ধি ও বোঝারও। বঙ্গবন্ধু, তার স্বদেশ ও মানুষপ্রেম, বিচক্ষণ রাজনীতিবোধ ও সমাজ সচেনতা, মানবিক উদারতা এসব উপলব্ধি করতে পারলেই কেবল বঙ্গবন্ধুকে বোঝা যাবে; পাওয়া যাবে। কেননা রাজনীতির এমন দার্শনিক, এমন প্রাকৃত রাজনীতিক, এমন বিরল প্রতিভার মানুষ পৃথিবীতে একশ-দেড়শ বছর পর পর একজন করে আসেন। আমরা বঙ্গবন্ধুকে পেয়েছি। এ আমাদের পরম সৌভাগ্য।

বঙ্গবন্ধু আমাদের মুক্তিদাতা। স্বজাত্যবোধ ও স্বদেশপ্রেমে- আমাদের শক্তি, সাহস ও উদ্দীপনা। ব্যক্তি বা দলকে ছাড়িয়ে বঙ্গবন্ধু মুক্তিকামী মানুষের আকাশে ধ্রুবতারা।

বঙ্গবন্ধু, আপনি আমাদের শ্রদ্ধা নিবেন। আপনি এসেছিলেন বলেই আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি। আজ আমরা সেই সবুজ মুক্ত স্বাধীন দেশের গর্বিত নাগরিক। আপনি আপনার গোটা জীবন উৎসর্গ করেছেন আমাদের জন্য। একটাই তো জীবন। সে জীবনটা আপনি আমাদের দিয়ে গেলেন! এ কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ভাষা আমাদের জানা নেই।

শুধু জানবেন, এই দেশ মানেই আপনি। আমি স্বদেশ মানে আপনাকে দেখি। আপনার চোখ হাসি দেখি। এই মানচিত্র, প্রিয় মাতৃভূমি- সবই তো আপনি। আমরা আপনাতেই যাপন করি জীবন, পিতা।

লেখক : সাংবাদিক, কবি ও সংস্কৃতিকর্মী

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়