শিরোনাম
◈ হায়দার আকবর খান রনো মারা গেছেন ◈ ডোনাল্ড লু’র ছয়দিনের সফর শুরু, ভারত ও শ্রীলঙ্কা হয়ে বাংলাদেশ আসছেন ১৪ মে ◈ লোহাগড়ায় দুর্বৃত্তের গুলিতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু ◈ সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়ার প্রস্তাব পাস  ◈ জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে টানা চার জয় বাংলাদেশের ◈ বন্দি ফিলিস্তিনিদের উপর ইসরায়েলি বাহিনীর অমানবিক নির্যাতনের তথ্য-ছবি ফাঁস ◈ গাজার রাফাহজুড়ে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা ও বোমাবর্ষণ ◈ কোনো ভর্তুকি ছাড়াই নিজস্ব আয় থেকে উড়োজাহাজের মূল্য পরিশোধ করছে বিমান ◈ আওয়ামী লীগ মাঠে না থাকলে বিএনপি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাবে: ওবায়দুল কাদের ◈ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা শেষ, এখন চলবে ফাইজার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ৩১ আগস্ট, ২০১৮, ০১:১৩ রাত
আপডেট : ৩১ আগস্ট, ২০১৮, ০১:১৩ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

যে কারণে রাগান্বিত হয়ে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন রাসূলুল্লাহ (সা.)

আমিন মুনশি : আমাদের সমাজে দিন দিন তালাক বা বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা বেড়েই চলছে। বিভিন্ন জন এই বিষয়ে বিভিন্ন মন্তব্যও করছেন। কিন্তু ইসলাম এই বিষয়টিকে কিভাবে দেখে? বিভিন্ন হাদিসে এই বিষয়ে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গির কথা স্পষ্ট বর্ণনা করা হয়েছে। হাদিসে এসেছে, আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা. বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন- আল্লাহ পাকের কাছে বৈধ বিষয়সমূহের মধ্যে সবচেয়ে অপ্রিয় হল তালাক। (আবু দাউদ)

অন্য একটি হাদিসে এসেছে, মাহমূদ ইবনে লবীব বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সা. কে জানানো হয় যে, এক ব্যক্তি একই সময়ে তার স্ত্রীকে তিন তালাক প্রদান করেছে। রাসূলুল্লাহ (সা.) রাগে দাঁড়িয়ে গেলেন এবং বললেন, তোমরা কি আল্লাহর কালাম নিয়ে খেলা শুরু করে দিয়েছ, অথচ আমি তোমাদের মধ্যে বর্তমান? বর্ণনাকারী বলেন, তাকে এতই রাগান্বিত মনে হচ্ছিল যে, এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে গেল এবং বলল, হে আল্লাহর রাসূল সা.! আমি কি তাকে হত্যা করব না? (নাসায়ি)

অন্য আরো একটি হাদিসে এসেছে, মুআয ইবনে জাবাল রা. বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, হে মুআয! পৃথিবীতে আল্লাহ তায়ালার কাছে গোলাম আযাদ করার চেয়ে প্রিয়তর কোন কিছু তিনি সৃষ্টি করেননি। আর আল্লাহ তায়ালা পৃথিবীতে তালাক প্রদানের চেয়ে অপ্রিয় কোন কিছু সৃষ্টি করেননি। (দারে কুতনী)

আরো একটি হাদিসে এসেছে, আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা. বর্ণনা করেন, তিনি মাসিক ঋতুচক্র চলাকালে তার স্ত্রীকে তালাক প্রদান করেন। তার পিতা ওমর রা. রাসূলুল্লাহ সা. কে এ ব্যাপারে অবহিত করেন। তা শুনে তিনি ক্রোধান্বিত হন এবং বলেন, তাকে ফিরিয়ে নাও এবং রেখে দাও; যতক্ষণ না সে ঋতু থেকে পবিত্র হয়। যদি সে তার মন পরিবর্তন না করে তবে যেন পরবর্তীতে তালাক দেয়। সে এমন পবিত্রতার সময়কালে তাকে তালাক দেয় যাতে সে তাকে স্পর্শ করেনি। এটি অপেক্ষার সময় যা আল্লাহ তায়ালা নারীদের তালাক প্রদানের জন্য নির্ধারণ করেছেন। (বুখারি, মুসলিম)

উপরোল্লেখিত আলোচনা তালাকের পরিপ্রেক্ষিতে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গির বর্ণনা দেয়। তা বিবাহিত দম্পতিকে সমঝোতার একটি সুবর্ণ সুযোগ প্রদান করে এবং তাদেরকে আবেগতাড়িত ও তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত গ্রহণ থেকে রক্ষা করে ও বাধা প্রদান করে। প্রথমত, তা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সমস্যার সুরাহা করার জন্যে দুইজন মধ্যস্থতাকারী আহবান করে। দ্বিতীয়ত, যদি তা ব্যর্থ হয়, তাহলে তা স্বামী ও স্ত্রীকে তিন মাসের একটি অপেক্ষার সময় (ইদ্দত) পার করতে বলে। তা তাদেরকে সমঝোতার অন্য একটি সুযোগ প্রদান করে। তৃতীয়ত, যদি স্বামী চ‚ড়ান্তভাবে তালাক প্রদানের ইচ্ছা করে তবে তা স্ত্রীর সম্মান ও মর্যাদার পাশাপাশি তার ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করে। চতুর্থত, ইসলাম তালাক প্রদানকে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের কাছে সবচেয়ে অপছন্দনীয় ঘোষণার মাধ্যমে বিয়ে নামক সম্পর্কটির মর্যাদা ও পবিত্রতার অনুভ‚তি পুনর্ব্যক্ত করেছে। এসব মহৎ শিক্ষার কারণে ইসলামে বিয়ে খুব টেকসই ও সুদৃঢ় প্রতিষ্ঠান এবং তালাকের মাধ্যমে তা খুব কমই নিঃশেষ হয়ে যায়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়