সাজিয়া আক্তার: পলিথিনের ব্যবহারে শুধু জলাবদ্ধতা আর পরিবেশ দূষণই হচ্ছে না কমাচ্ছে জমির উৎপাদনশীলতাও, এমনটাই বলছেন গবেষকরা। ভাসমান এসব বর্জ্যের শেষ ঠিকানা সমুদ্র হওয়ায় ভয়াবহ বিপদের সম্মুখীন হচ্ছে মৎস্য সম্পদ। গবেষকদের আশঙ্কা, ২০৫০ সাল নাগাদ সমুদ্রে মাছের পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে প্লাষ্টিক।
এখন বৃষ্টি মানেই দেশের বড় শহরগুলোতে জলাবদ্ধতায় নাগরিক ভোগান্তি।এই জলাবদ্ধতার বড় কারণ প্লাস্টিক বর্জ্য। ৫ মাইক্রোন ওজন বা পাতলা পলিথিনের যথেচ্ছ ব্যবহারে তৈরি হচ্ছে এ সংকট। অপচনশীল এ পণ্য নগরীর পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থাকে আটকে দিয়ে তৈরি করছে জলাবদ্ধতা।
পরিবেশ অধিদপ্তরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রকৌশলি মো. আবদুল সোবহান বলেন, জলাবদ্ধতা বাড়ার অনেকগুলো কারণ আছে। খাল, নদী এসমস্ত ভরাট হয়ে গেছে, তার সাথে সাথে পলিথিন ও একটি বড় সমস্যা। অল্প বৃষ্টিতেই পলিথিন দিয়ে ড্রেনগুলো বন্ধ হয়ে যায় এতে মানুষ নানা দুর্ভোগে পরে।
শুধু জলাবদ্ধতা নয় পরিবেশ দূষণসহ নানা কারণে সারা বিশ্বে ১০০ মাইক্রোনের নিচে পলিথিন উৎপাদন নিষিদ্ধ।
দেশে প্রতিদিন মাথাপিছু কমপক্ষে ৪ টি পলিথিন ব্যবহার হয়। এ কারণেই পলিথিন ব্যবহারে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান দশম। আর শীর্ষে আছে চীন। আন্তর্জাতিক পরিবশে সংরক্ষণ সংস্থা আইইউসিএন বলছে, মোট প্লাস্টিকের ২ ভাগেরই গন্তব্য সমুদ্র।একপর্যায়ে মেশে মাছসহ বিভিন্ন জীবের দেহে।
বর্তমানে যে হারে পাস্টিক বর্জ্য সমুদ্রে পড়ছে, এটি কমাতে না পারলে ২০৫০ সাল নাগাদ তা সমুদ্র তলদেশের মাছের পরিমাণকেও ছাড়িয়ে যাবে। তাই বাংলাদেশসহ বিশ্বের বেশির ভাগ দেশই প্লাষ্টিক ঠেকাতে নিয়েছে পদক্ষেপ।
সাড়া বিশ্বের ইতিহাসে সর্বপ্রথম যে দেশটি পলিথিনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছিল দেশটি হল বাংলাদেশ। অথচ সেই দেশটিতে ময়লার ভাগারে পলিথিনের স্তুপ রয়েছে সেই এই আইনি বাংলাদেশে কতটা কার্যকর।
সূত্র : চ্যানেল ২৪ টেলিভিশন
আপনার মতামত লিখুন :