শিরোনাম
◈ তফশিল ঘোষণার তারিখ এখনো ঠিক হয়নি: ইসি সচিব ◈ কৃষ্ণ সাগরে ড্রোন হামলার পর পাঁচ দিন ধরে বিপদে ১০ নাবিক, তাদের একজন বাংলাদেশি প্লাবন ◈ খালেদা জিয়াকে নিয়ে আসিফ মাহমুদের ফেসবুক পোস্ট, যা লিখলেন ◈ সব কিছু প্রস্তুত করা হচ্ছে, তারেক রহমান ফিরবেন যেকোনো সময়: আমীর খসরু ◈ পেট্রাপোলের জটিলতায় বেনাপোলে আটকে ১৫০ সুপারি ট্রাক, প্রতিদিন লাখ টাকার ক্ষতি রফতানিকারকদের ◈ বিদেশ নেওয়ার ক্ষেত্রে বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করা হচ্ছে: ডা. জাহিদ হোসেন (ভিডিও) ◈ মহানবীর রওজা জিয়ারতে নতুন নিয়ম ও সময়সূচি ঘোষণা ◈ আইজিপি বাহারুলের বরখাস্ত চেয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে আবেদন ◈ শেখ হাসিনা ভারতে থাকবেন কি না তাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে: এস জয়শঙ্কর ◈ সাম‌নে হ‌বে ভোটের আগে জোট, পর্দার আড়ালে 'আন্ডারস্ট্যান্ডিং'

প্রকাশিত : ২৪ জুলাই, ২০১৮, ০১:১১ রাত
আপডেট : ২৪ জুলাই, ২০১৮, ০১:১১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় তিন হাজার ৯৮২ কোটি টাকা

সাইদ রিপন: বন্দর পথে বাণিজ্যিক প্রসার ঘটাতে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে স্বপ্নের মেগাপ্রকল্প পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ চলছে দ্রুত গতিতে। ২০২১ সালের মধ্যে এ বন্দরের প্রথম টার্মিনাল নির্মাণ করার কথা রয়েছে। কিন্তু বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে যেভাবে কাজ চলছে তাতে ২০১৯ সালের শেষের দিকেই এর প্রথম টার্মিনাল বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে তিন হাজার ৯৮২ কোটি টাকা। পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানিয়েছে, এ বন্দরকে তিন ভাগে ভাগ করে এর উন্নয়নের কাজ এগিয়ে চলছে। ২০১৯ সালে স্বল্প পরিসরে পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দরের কার্যক্রম চালু করতে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। বন্দরের প্রথম টার্মিনালটি হবে ৬০০ মিটার দীর্ঘ। বড় বড় জাহাজের মালামাল খালাসের মতো অবকাঠামোগত সব সুবিধা থাকবে এ টার্মিনালে। এজন্যই বন্দর ঘিরে সংযোগ সড়ক, আন্দারমানিক নদীর উপর সেতু ও আনুষঙ্গিক সুবিধা তৈরি করবে সরকার। এ প্রকল্পটির সাথে সংযোগ সড়কগুলো ফোরলেন করা হবে। মূলত প্রকল্পটি সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন হলে এ এলাকার দৃশ্য পাল্টে যাবে।

পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক মহিউদ্দিন আহমেদ আমাদের অর্থনীতিকে বলেন, দেশের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও পদ্মাসেতু প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য সমুদ্র পথে প্রচুর কয়লা ও পাথর আসবে। বড় বড় জাহাজের পণ্যসমাগ্রী খালাস ও বোঝাই করতে হলে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন জরুরি। এ বন্দরটি কার্যক্রম চালু হলে এর মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে জাতীয় প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখবে রাখা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, ২০১৯ সালের মধ্যেই নির্মাণ সামগ্রী ও অন্যান্য বাল্ক পণ্যবাহী জাহাজ থেকে পণ্য খালাস করার প্রক্রিয়া শুরু হবে।

প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নির্দেশে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে ২০১২ সালে দেশে একটি তৃতীয় সমুদ্র বন্দর নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। এ বিষয়ে একটি প্রাথমিক সমীক্ষা পরিচালনা করে ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া যায়। তারপর চট্টগ্রাম বন্দও কর্তৃপক্ষ থেতে ৫০ কোটি টাকা অস্থায়ী ঋণ নিয়ে পটুয়াখালী জেলায় কলাপাড়া উপজেলার আন্দারমানিক নদীর পশ্চিম তীরে ১৬ একর জায়গা অধিগ্রহণ করে একটি সার্ভিস ইয়ার্ডসহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু বন্দর অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের আলোকে গত ১০ নভেম্বর ২০১৩ সালে জাতীয় সংসদে ‘পায়রা সমুদ্র বন্দর এ্যাক্ট-২০১৩’ পাশ করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিগত ১৯ নভেম্বর ২০১৩ সালে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে পটুয়াখালী জেলার রাবনাবাদ চ্যানেলে পায়রা সমুদ্র বন্দর নামে দেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দরের শুভ উদ্বোধন করেন। পরবর্তীতে পায়রা বন্দর প্রকল্পটিকে মেগাপ্রকল্পের অন্তর্ভূক্ত করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়