মো. শহীদুল ইসলাম : সম্প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহান মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লাখ শহীদের সম্মানে ত্রিশ লাখ বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচীর শুভ উদ্বোধন করেছেন। তার এই উদ্যোগ মুক্তিযদ্ধের চেতনাকে শাণিত করেছে। আসলে আমরা যারা যুদ্ধ করে দেশকে স¦াধীন করেছিলাম, স্বাধীনতার পরে যখন দেশকে গড়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছিল, দেশে সংবিধান রচিত হয়েছিল, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং ধ্বংসপ্রাপ্ত একটি দেশকে গড়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছিল, ঠিক তখনই জাতির জনককে হত্যার মাধ্যমে পাকিস্তানি প্রেতাত্মারা আবার ক্ষমতায় আসীন হয়। ক্ষমতায় এসে তারা প্রথমে আঘাত করেছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনার উপরে ।
অর্থাৎ ১৯৭১ সালে কোন লোক শহীদ হয়নি, তখন কোন সশস্ত্র যুদ্ধ হয়নি, মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর যুদ্ধ হয়নি, এ সমস্ত কথা বলে জাতিকে তারা বিভ্রান্ত্র করার চেষ্টা করে। এবং জাতিকে এমন একটি পর্যায়ে নিয়ে আসে যে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলে কোন জিনিস নাই। আমরা ১৪ দল ২০০৮ সালে ক্ষমতায় এসে এর পুনরুদ্ধার করি। এবং ঠিক করি যে, বাংলাদেশে যারা রাজনীতি করবে, তাদেরকে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে স্বীকার করে নিতে হবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বীকার করে নিতে হবে। ২৫ শে মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসাবে মেনে নিতে হবে। যদি না মানে, তাহলে তারা এই দেশে আর রাজনীতি করতে পারবে না।
সেই উদ্যোগকে সফল করার জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশব্যাপি এই ত্রিশ লাখ গাছ রোপণ করার উদ্যোগ নিয়েছেন । এটা একটা প্রতিক । মুক্তিযুদ্ধের ধারণার চিহ্ন। ত্রিশ লাখ গাছ শুধু নয়, ত্রিশ লাখ জীবন দান করেছি আমরা। এবং এটা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও বৃদ্ধি করবে। এতে পরিবেশের ভারসাম্যতা রক্ষা হবে। স্বাধীনতার ভারসাম্যতা রক্ষা হবে। স্বাধীনতা বিরোধীদের আমরা সারাজীবন দেখাতে পারবো যে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য ত্রিশ লাখ লোক শহীদ হয়েছেন। এজন্য ত্রিশ লাখ গাছ লাগিয়ে তার প্রমাণ রেখেছি। সুতরাং মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ত্রিশ লাখ মানুষকে শ্রদ্ধা নিবেদনে প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগ যথার্থ বলে আমি মনে করি।
পরিচিতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সভাপতি, জাসদ, ঢাকা মহানগর পূর্ব/ মতামত গ্রহণ: মোহাম্মদ আবদুল অদুদ/সম্পাদনা: ফাহিম আহমাদ বিজয়