শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ১৮ জুলাই, ২০১৮, ০৭:৩০ সকাল
আপডেট : ১৮ জুলাই, ২০১৮, ০৭:৩০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শিশুরা জানবে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন শেখ হাসিনা

আ স ম ফিরোজ: মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহিদের জন্য দেশরতœ, মানবতার মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি বিরল রেকর্ড বা কৃতিত্ব গড়তে চলেছেন। তিনি শহীদদের সম্মানার্থে ৩০ লক্ষ গাছের চারা লাগানোর বা বৃক্ষরোপন কর্মসুচির উদ্বোধন করবেন আজ। আসলে বাংলাদেশের ইতিহাসে এরকম ঘটনা বা এরকম কৃতিত্ব কোন সরকার প্রধান কখনই করতে পারেনি। সবার জন্য যা অসম্ভব, তা সম্ভব বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সরকার দ্বারা। এই দেশের যত বড় বড় কৃতিত্ব সব মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি আওয়ামী লীগের দ্বারাই হয়েছে। ৩০ লক্ষ গাছ প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রোপন করা হবে। শিশুরা জানুক মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস। শিশুরা এটাও জানতে পারবে যে, এই দেশ কোন দলের মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছে। শিশুরা জানতে পারবে এই কারণে বা এভাবে মৃত্যু হয়েছে শহীদদের। আমি মনে করি, বাংলাদেশ যতদিন থাকবে ততদিন মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই অবদান ভুলবে না। শিশুরা বা শিক্ষার্থীরা জানতে পারবে যে, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির একজন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, যার নাম শেখ হাসিনা। যিনি ৩০ লক্ষ গাছ রোপন করেন। গাছ আমাদের পরিবেশের ভারসাম্যতা রক্ষা করে। গাছের সাহায্যে আমরা অক্সিজেন নেই। গাছের বৈশিষ্টরে শেষ নেই। দেশবাসির উদ্দেশ্যে বলতে চাই, বেশি বেশি বৃক্ষ রোপন করুন, বৃক্ষ আমাদের পরম বন্ধু। বৃক্ষ শুধু প্রাকৃতিক শোভাই বর্ধন করে না, মাটির ক্ষয়রোধ করে, বন্যা প্রতিরোধ করে, ঝড়-তুফানকে বাধা দিয়ে জীব ও সম্পদ রক্ষা করে। আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণেও বৃক্ষের ভূমিকা অপরিসীম। বৃক্ষ ছাড়া পৃথিবী মরুভূমিতে পরিণত হতো। বৃক্ষ অক্সিজেন সরবরাহ করে আমাদের বাঁচিয়ে রাখে। তাই বৃক্ষকে বলা হয় ‘প্রাণের অগ্রদূত’। আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে বৃক্ষের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। বৃক্ষ আমাদের পরিবেশের অতি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান এবং অন্যতম বনজ সম্পদ। বৃক্ষের পাতা, ফল ও বীজ আমরা খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করি। বৃক্ষ তন্তু আহরণ করে পরিধেয় বস্ত্র প্রস্তুত করা হয়। বৃক্ষ প্রাপ্ত কাঠ দিয়ে বাড়িঘর ও আসবাব তৈরি করা হয়। অতি প্রয়োজনীয় লেখার সামগ্রী কাগজ ও পেনসিল বৃক্ষের কাঠ দিয়েই তৈরি করা থাকে। আমাদের রোগ নিরাময়ের ওষুধও এই বৃক্ষ থেকেই তৈরি করা থাকে। বৃক্ষ জীবকুলকে ছায়া দিয়ে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। বৃক্ষের ছায়া মাটির পানিকে সহজে বাষ্পে পরিণত হতে দেয় না। বিস্তৃত বনাঞ্চলের বৃক্ষ জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ুকে ঘনীভূত করে বৃষ্টিপাত ঘটায়। বায়ুম-ল কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস গ্রহণ করে, বৃক্ষ অক্সিজেন গ্যাস ছেড়ে দেয়, যা মানুষ ও অন্যান্য প্রাণিকুল শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য গ্রহণ করে। দেশবাসীর প্রতি আহ্বান বৃক্ষ রোপন অভিযান সফল করুন।
পরিচিতি : চিপ হুইফ, সংসদ সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা / মতামত গ্রহণ : মো.এনামুল হক এনা / সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়