সাজিয়া আক্তার : গেল ১০ বছরে দেশে শিক্ষা খাতে পরিবর্তনটা চোখে পরার মত। এসময় মাধ্যমিকে ছাত্রীর সংখ্যা ৩৬ লাখ থেকে বেড়ে প্রায় ৫৬ লাখ হয়েছে। প্রাথমিকে ঝড়ে যাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪৯ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে প্রায় ১৯ শতাংশ। কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষার্থীর অংশগ্রহন বেড়েছে ১৪ শতাংশ। বিনামূলে বই আর উপবৃত্তি বাড়ানোকেই এই সাফল্যের কারণ বলছে শিক্ষামন্ত্রী।
হবিগঞ্জের হাওর ঘেরা প্রত্যন্ত গ্রাম টঙ্গিঘাটের একটি স্কুল, যা বদলে যাবার এক উদাহরণ হয়ে আছে এই স্কুল। ২০০৮ সাল পর্যন্ত এখানকার স্কুলের শিক্ষার্থীরা ৫ম শ্রেণিও পার হতো না। কারণ দারিদ্র পীড়িত হাওর অঞ্চলের বাবা-মায়ের ধারনা ছিল শিশুর স্কুলে যাওয়ার চাইতে কৃষি কাজ করাটাই বরং বেশি লাভের।
এখন আর সেই দিন নেই, সরকারি নানা উদ্যোগের পর কয়েক বছরে শিশুরা স্কুলমুখী হয়েছে, সমাপনিতে বসেছে শতভাগ।
বিনা মূলে বই বিতরণ ও উপবৃত্তিসহ শিক্ষায় নানা সংস্থার দিয়ে আসা প্রণোদনা এখন ফল দিতে শুরু করেছে।
গেল ৯ বছরে দেশের দেড় হাজার গ্রামে নতুন স্কুল হয়েছে, মাধ্যমিকে বেড়েছে শিক্ষার্থীর সংখ্যা। আর নারী শিক্ষার্থীর হার বেড়ে দাঁড়িছে ৫৩ শতাংশ।
দেশে শিক্ষা খাতে অগ্রযাত্রার এই পালে আরো বেশি হাওয়া যোগাবে মিডডেমিল্ক।
শিক্ষামন্ত্রী নরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, উপবৃত্তি পায় ২ কোটি ৩ লক্ষ ছেলে মেয়ে, তার মধ্যে প্রাথমিক স্থরের ছেলে-মেয়ে ১ কোটি ৩ লক্ষ শিক্ষার্থীর মায়ের হাতে সরাসরি মোবাইলের মাধ্যমে যায়। ১৪ শতাংশ শিক্ষার্থী এর মধ্যে এর মধ্যে নিয়ে আসছি। আমাদের লক্ষ হচ্ছে ২০২০ সালের মধ্যে ২০ শতাংশ ছেলে- মেয়েকে আমরা কারিগরি বৃত্তিতে নিয়ে যাবো।
গত ১০ বছরের এমন শিক্ষাটা খাতে অগ্রগতির এমন চিত্রটা মানছেন শিক্ষাবিদ রাশেদা কে চৌধুরিও।
সূত্র : একাত্তর টেলিভিশন