শিরোনাম
◈ যে কারণে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ শিক্ষক ও ২০ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে শোকজ করলেন ◈ মানুষকে কামড়ালে ‘যাবজ্জীবন কারাদণ্ড’ হবে কুকুরের! ◈ ডাকসু নির্বাচনে গোলাম রাব্বানীর প্রার্থিতা অবৈধ: ছয় বছর পর জিএস হতে পারেন রাশেদ খান! ◈ স্বচ্ছতা আনতে সব প্রকল্পের টেন্ডার প্রক্রিয়া অনলাইনে করা হবে, আগামী সপ্তাহেই গেজেট: পরিকল্পনা উপদেষ্টা ◈ মুসলিম দেশগুলো কি ন্যাটোর আদলে যৌথ বাহিনী গঠন করছে? ◈ ম‌্যাচ হারায় বেনফিকার কোচ বরখাস্ত, নতুন দা‌য়িত্ব নি‌তে যা‌চ্ছেন হো‌সে মরিনহো  ◈ টাঙ্গাইলে বেকারির দোকানে বিএনপি নেতার স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা ◈ ভার‌তের অ‌ধিনায়ক সূর্যকুমারকে ‘শূকর’ ডেকে বিতর্কের মুখে পাকিস্তানি কিংবদন্তি ক্রিকেটার মোহম্মদ ইউসুফ ◈ তপশিলের আগেই ৭০% প্রার্থী ঘোষণার প্রস্তুতি বিএনপির, যাদের সুযোগ দেওয়ার পরিকল্পনা ◈ ইটস ভেরি অর্গানাইজড পার্টি, এবার জামায়াতকে নিয়ে যে মন্তব্য করলেন রুমিন ফারহানা!(ভিডিও)

প্রকাশিত : ২৫ জুন, ২০১৮, ০৪:৩৩ সকাল
আপডেট : ২৫ জুন, ২০১৮, ০৪:৩৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘বিদ্যুৎ সংকটকে স্থায়ী রূপ দিতে সাশ্রয়ী গ্যাস উত্তোলনের পথ বন্ধ করে রেখেছে সরকার ’

আশিক রহমান: বিদ্যুৎ সংকটকে স্থায়ী রূপ দিতে সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য জ্বালানি প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলনের পথ সরকার বন্ধ করে রেখেছে বলে অভিযোগ করেছেন পাওয়ার সেলের সাবেক মহাপরিচালক ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বি.ডি রহমতউল্লাহ। আমাদের অর্থনীতিকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত মালামাল দেশ ও আন্তর্জাতিক বাজার হারিয়েছে, হারাচ্ছে। শিল্পায়ন না হওয়ায় দেশে প্রচুর বেকার বাড়ছে। এতে কিছুমাত্র রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও আমলা-কামলারা দেশ ও জনগণের স্বার্থের বিনিময়ে প্রচুর অবৈধ অর্থের মালিক হচ্ছে। এই অবৈধ অর্থের প্রবাহ ঠিক রাখার জন্য বিদ্যুৎ সংকটকে স্থায়ী রূপ দেওয়ার জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রধান যে উপাত্ত জ্বালানি, আমাদের দেশের সবচেয়ে সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য জ্বালানি প্রাকৃতিক গ্যাস তা উত্তোলনের পথ সরকার বন্ধ করে রেখেছে।

তিনি আরও বলেন, জিডিপির গ্রোথ রেট যদি সাড়ে সাত শতাংশ বৃদ্ধি পায়, সেক্ষেত্রে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির গ্রোথ রেট হতে হবে ন্যূনতম দুইগুণ বেশি। অর্থ্যাৎ ১৫ শতাংশ। কিন্তু আজকে যতই বলা হোক না কেন, ১৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উপাদন সক্ষমতা পিডিবি ও এলডিসির তথ্য ঘেটে গত কয়েক বছরে দেখা গেছে যে, এ পর্যন্ত সর্বাধিক বিদ্যুৎ উৎপাদন করা গেছে ৯ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট। সরকার স্থাপিত পুরোনো ও নতুন, সক্ষম ও অক্ষম, সচল এবং অচলÑ সব ধরনের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের নামফলক ডাটা যোগ করে ১৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের কথা বলছে। কিন্তু বর্তমানে পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্ল্যানের স্ট্যাডি পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী জিডিপির গ্রোথকে সমর্থন করার জন্য ২০১৮ সালে বিদ্যুতের চাহিদা হওয়ার কথা ১৭ হাজার মেগাওয়াট, সেখানে বর্তমানে সর্বাধিক বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা হচ্ছে ৯ হাজার ৫০০।

এক প্রশ্নের জবাবে বি.ডি রহমতউল্লাহ বলেন, চাহিদার দুইরকম চাহিদা রয়েছে। একটা চলতি চাহিদা, আরেকটি অবদমিত চাহিদা। অবদমিত চাহিদা হচ্ছে আবেদন করেও যারা বিদ্যুৎ পাচ্ছেন বা দেওয়া হচ্ছে না। বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ঘাটতির কারণে যারা বর্তমান চাহিদা বৃদ্ধির করার সুযোগ পাচ্ছে না। বিদ্যুতের অভাবে নতুন কল-কারখানা হচ্ছে না। সবপ্রকার মিলে অবদমিত চাহিদার পরিমাণ ৮ হাজার মেগাওয়াট। কিন্তু কেন এই সমস্যার সমাধান হচ্ছে না? প্রথমত স্বাভাবিক পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পদক্ষেপ নিলে যে উৎপাদন সাশ্রয়ী, মানসম্মত ও নির্ভরযোগ্য হতো। ইচ্ছেকৃত সংকট সৃষ্টি করে কৃত্রিম চাহিদা বৃদ্ধি করে এই স্বাভাবিক পথকে এড়িয়ে ব্যয়বহুল অনির্ভরযোগ্য ও কারিগরিভাবে নিম্নমানের ক্ষুদ্র বিদ্যুৎ কেন্দ্র, বিতর্কিত রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র ইত্যাদি স্থাপন করার ফলে চাহিদা তো মিটেইনি, অবৈধভাবে বিদ্যুতের বৃদ্ধির ফলে দেশের উৎপাদন খাত যেমন বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে, নতুন শিল্প-কারখানাও সম্প্রসারণ হয়নি। এতে জিনিসপত্রের মূল্য অনেক বেড়েছে। সাধারণ মানুষের জীবনযাপন কঠিন হয়ে পড়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়