শিরোনাম
◈ শিক্ষক-কর্মচারীদের মাধ্যমিক স্তরে বদলি ও পদায়নের নতুন নির্দেশনা ◈ হাজিদের সোয়া ৮ কোটি টাকা ফেরত দেবে সরকার ◈ জরুরি অবস্থা ঘোষণায় বিরোধীদলের অংশগ্রহণ ও নাগরিক অধিকার সুরক্ষার সুপারিশ ◈ গভীর রা‌তে ক্লাব বিশ্বকা‌পের ফাইনাল, এই আ‌য়োজ‌নে ফিফার আয় ২৪ হাজার কোটি টাকা ◈ সিরিজ বাঁচা‌তে রা‌তে শ্রীলঙ্কার মোকা‌বিলা কর‌বে বাংলা‌দেশ ◈ চীনের সুপার ড্যাম,: ভারত ও বাংলাদেশের উদ্বেগ ও বাস্তবতা ◈ ভেরিফিকেশন ছাড়া আর নয় শিক্ষক নিয়োগ: কার্যকর হলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতুন পরিপত্র ◈ সেনা কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসির ক্ষমতা বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন ◈ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি চ্যালেঞ্জিং হলেও জাতীয় নির্বাচন সম্ভব: বিবিসি বাংলাকে সিইসি ◈ সন্ত্রাসীদের ধরতে যে কোন সময় সারাদেশে চিরুনি অভিযান: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা (ভিডিও)

প্রকাশিত : ২৫ জুন, ২০১৮, ০৪:৩৩ সকাল
আপডেট : ২৫ জুন, ২০১৮, ০৪:৩৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘বিদ্যুৎ সংকটকে স্থায়ী রূপ দিতে সাশ্রয়ী গ্যাস উত্তোলনের পথ বন্ধ করে রেখেছে সরকার ’

আশিক রহমান: বিদ্যুৎ সংকটকে স্থায়ী রূপ দিতে সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য জ্বালানি প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলনের পথ সরকার বন্ধ করে রেখেছে বলে অভিযোগ করেছেন পাওয়ার সেলের সাবেক মহাপরিচালক ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বি.ডি রহমতউল্লাহ। আমাদের অর্থনীতিকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত মালামাল দেশ ও আন্তর্জাতিক বাজার হারিয়েছে, হারাচ্ছে। শিল্পায়ন না হওয়ায় দেশে প্রচুর বেকার বাড়ছে। এতে কিছুমাত্র রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও আমলা-কামলারা দেশ ও জনগণের স্বার্থের বিনিময়ে প্রচুর অবৈধ অর্থের মালিক হচ্ছে। এই অবৈধ অর্থের প্রবাহ ঠিক রাখার জন্য বিদ্যুৎ সংকটকে স্থায়ী রূপ দেওয়ার জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রধান যে উপাত্ত জ্বালানি, আমাদের দেশের সবচেয়ে সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য জ্বালানি প্রাকৃতিক গ্যাস তা উত্তোলনের পথ সরকার বন্ধ করে রেখেছে।

তিনি আরও বলেন, জিডিপির গ্রোথ রেট যদি সাড়ে সাত শতাংশ বৃদ্ধি পায়, সেক্ষেত্রে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির গ্রোথ রেট হতে হবে ন্যূনতম দুইগুণ বেশি। অর্থ্যাৎ ১৫ শতাংশ। কিন্তু আজকে যতই বলা হোক না কেন, ১৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উপাদন সক্ষমতা পিডিবি ও এলডিসির তথ্য ঘেটে গত কয়েক বছরে দেখা গেছে যে, এ পর্যন্ত সর্বাধিক বিদ্যুৎ উৎপাদন করা গেছে ৯ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট। সরকার স্থাপিত পুরোনো ও নতুন, সক্ষম ও অক্ষম, সচল এবং অচলÑ সব ধরনের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের নামফলক ডাটা যোগ করে ১৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের কথা বলছে। কিন্তু বর্তমানে পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্ল্যানের স্ট্যাডি পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী জিডিপির গ্রোথকে সমর্থন করার জন্য ২০১৮ সালে বিদ্যুতের চাহিদা হওয়ার কথা ১৭ হাজার মেগাওয়াট, সেখানে বর্তমানে সর্বাধিক বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা হচ্ছে ৯ হাজার ৫০০।

এক প্রশ্নের জবাবে বি.ডি রহমতউল্লাহ বলেন, চাহিদার দুইরকম চাহিদা রয়েছে। একটা চলতি চাহিদা, আরেকটি অবদমিত চাহিদা। অবদমিত চাহিদা হচ্ছে আবেদন করেও যারা বিদ্যুৎ পাচ্ছেন বা দেওয়া হচ্ছে না। বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ঘাটতির কারণে যারা বর্তমান চাহিদা বৃদ্ধির করার সুযোগ পাচ্ছে না। বিদ্যুতের অভাবে নতুন কল-কারখানা হচ্ছে না। সবপ্রকার মিলে অবদমিত চাহিদার পরিমাণ ৮ হাজার মেগাওয়াট। কিন্তু কেন এই সমস্যার সমাধান হচ্ছে না? প্রথমত স্বাভাবিক পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পদক্ষেপ নিলে যে উৎপাদন সাশ্রয়ী, মানসম্মত ও নির্ভরযোগ্য হতো। ইচ্ছেকৃত সংকট সৃষ্টি করে কৃত্রিম চাহিদা বৃদ্ধি করে এই স্বাভাবিক পথকে এড়িয়ে ব্যয়বহুল অনির্ভরযোগ্য ও কারিগরিভাবে নিম্নমানের ক্ষুদ্র বিদ্যুৎ কেন্দ্র, বিতর্কিত রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র ইত্যাদি স্থাপন করার ফলে চাহিদা তো মিটেইনি, অবৈধভাবে বিদ্যুতের বৃদ্ধির ফলে দেশের উৎপাদন খাত যেমন বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে, নতুন শিল্প-কারখানাও সম্প্রসারণ হয়নি। এতে জিনিসপত্রের মূল্য অনেক বেড়েছে। সাধারণ মানুষের জীবনযাপন কঠিন হয়ে পড়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়