আশিক রহমান : গ্যাসের ধর্ম অনুযায়ী বহুদিন এভাবে মিয়ানমার গ্যাস তুলতে থাকলে আমাদের গ্যাস ব্লকগুলো শূন্য হয়ে যাবে। আর স্থানীয় গ্যাসে উৎপাদিত বিদ্যুৎ উৎপাদন ইউনিট প্রতি এখনো ২ টাকার নিচে। এই টাকায় বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারলে দেশ স্বনির্ভর হতে পারত। অথচ সরকার এ বিষয়ে পদক্ষেপ না নিয়ে আবারও অবৈধ অর্থ উর্পাজনের লক্ষ্যে ব্যয়বহুল এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) আমদানির পদক্ষেপ নিয়েছে। এমন মন্তব্য করেছেন পাওয়ার সেলের সাবেক মহাপরিচালক ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বি.ডি রহমতউল্লাহ।
আরো পড়ুন : এমপি পুত্রের গাড়ি চাপায় মৃত্যু ‘২০ লাখ টাকায় আপোষ রফা’
আমাদেরসময় ডটকমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমদানিকৃত গ্যাসের ক্রয়মূল্য ও পরিবহন ব্যয়সহ প্রতি ইউনিট এলএনজির মূল্য আমাদের উৎপাদিত গ্যাসের মূল্যের চেয়ে তিনগুণ বেশি পড়ে। তাতে বর্তমানে যে প্রতি ইউনিট ৫.৫০ টাকা (কিউবিক মিটার) আমদানি করার পর গ্যাসের মূল্য পড়বে ১৫ টাকা।
এক প্রশ্নের জবাবে এই আমরা জানি, বঙ্গোপসাগরে মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধনিষ্পত্তি হওয়ার পর বঙ্গোপসাগরে টেকনাফের দক্ষিণ-পূর্ব বরাবর ব্লক ৯, ১০, ১১ ও ১২। এই চারটি ব্লকে আমাদের প্রচুর সম্ভাবনাময় অফসোর ব্লক পাওয়া সত্ত্বেও এবং আন্তজাতিক সোর্স থেকে পাওয়া বিভিন্ন তথ্য অনুযায়ী ১২-১৩ বিলিয়ন কিউবিক ফিট গ্যাসের মজুত উত্তোলনের আজ পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। কিন্তু এই সমস্ত ব্লকের একই স্ট্রাকচারে মিয়ানমার তার প্রাপ্ত গ্যাস ব্লক থেকে ২০১৬ সাল থেকে প্রচুর গ্যাস উত্তোলন করে চীন ও ভারতে বিক্রি করছে।
আরো পড়ুন : ‘বিদ্যুৎ সংকটকে স্থায়ী রূপ দিতে সাশ্রয়ী গ্যাস উত্তোলনের পথ বন্ধ করে রেখেছে সরকার ’
তিনি বলেন, খুব সম্প্রতি বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় আয়োজিত সেমিনারে পেপার উপস্থাপনকারী আন্তর্জাতিক জ্বালানি বিশেষজ্ঞ জ্যাকবসনের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে ন্যূনতম ২০ হাজার মেগাওয়াট বায়ু-বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব।