জান্নাতুল ফেরদৌসী: এবার ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগ উঠেছে রাজধানীর অভিজাত ক্লাবগুলো বিরুদ্ধে। অফিসার্স ক্লাব, ঢাকা ক্লাবের মতো বেশ কয়েকটি নামী ক্লাবের কাছে ২৩৬ কোটিরও বেশি ভ্যাট ও সম্পুরক শুল্ক পাওনা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের। টাকা আদায়ের জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর আয় ব্যয়ের হিসাব চেয়েও পাচ্ছে না রাজস্ববোর্ড।
বার্ষিক সাধারণ সভা, সেমিনার কিংবা কর্মশালায় বছরজুড়েই ব্যস্ত থাকে অফিসার্স ক্লাব। সরকারি আমলাদের এই ক্লাবটিতে ৩ টি হলরুমের ভাড়া আয়োজন ভেদে ৪৮ হাজার টাকা থেকে সাড়ে চার লাখ টাকা পর্যন্ত। যার মধ্যে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আর ৫ শতাংশ আয়কর অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু আদায় হওয়া কর আর শুল্ক ঠিকঠাক মতো পরিশোধ করছে না অফিসার্স ক্লাব। গত ৫ বছরে অনাদায়ী ভ্যাটের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৩ কোটি টাকা। সেই সাথে আছে আগের ২২ কোটি টাকার বকেয়াও।
রাজস্ব বোর্ডের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ২০০৭ থেকে ২০১৬ সময়ে ঢাকা ক্লাবের কাছে প্রায় ১১৭ কোটি টাকা, গুলশান ক্লাবের সাড়ে ২৮ কোটি, উত্তরা ক্লাবের কাছে ২৯ কোটি ৫৭ লাখ এবং খুলনা ক্লাবের কাছে ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাবদ সরকারের পাওনা ৭ কোটি টাকা। যথাযথ ভাবে ভ্যাট পরিশোধ না করলে, আইনের ২৬ ধারা অনুযায়ী অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব জব্দ করতে পারে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট।
এসব পাওনার হিসাব চেয়ে দেয়া চিঠিরও জবাব দেয়নি তারা বলে জানান জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (ভ্যাট পলিসি) মো. রেজাউল হাসান। তিনি বলেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এখানে যারা বিযের আয়োজন করে তারা বাইরে থেকে বাবুর্চি এবং খাবার নিয়ে আসে। অনেক দিন ধরেই এগুলো হিসাব দেয় না তারা। হিসাব না দেয়ার কারণে এই বকেয়ার সৃষ্টি। তবে সব ক্লাবের একই ধরনের ঘটনা নয়। অনেক ক্লাবে ফ্লোর শো হয় এবং সেখানে অনেক ধরনের পানিয় রাখা হয়। সেখানেও তারা ভ্যাটের টাকা জমা দেয়নি।
এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ বলেন, শুধু অফিসার্স ক্লাবই নয়, অভিজাত প্রায় সবগুলো ক্লাবই ঠিকমতো শোধ করছে না সরকারের পাওনা। টাকা আদায়ের জন্য ক্লাবগুলোর আয়-ব্যায়ের হিসেব চেয়েও পাচ্ছে না রাজস্ব বোর্ড। সূত্র: ডিবিসি নিউজ টিভি
আপনার মতামত লিখুন :