সজিব খান: আগামী ডিসেম্বর মাসে দেশে প্রথম বারের মতো চালু হতে পারে ইলেকট্রনিক বা ই-পাসপোর্ট। কাগজের পাসপোর্টে ও এমআরপি বা মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের ব্যবহার ছেড়ে বর্তমান বিশ্বের ১১৯টি দেশে ব্যবহার হচ্ছে ই-পাসপোর্ট। তাই এবার উন্নয়নের ধারায় পিছিয়ে থাকতে চায় না বাংলাদেশও।
জানা যায়, ই-পাসপোর্টে ৩৮ ধরনের নিরাপত্তা ফিচার থাকবে। পাসপোর্টের মেয়াদ হবে বয়সভেদে ৫ ও ১০ বছর। বর্তমানে বই আকারে যে পাসপোর্ট আছে, ই-পাসপোর্টেও একই ধরনের বই থাকবে। তবে বর্তমানে পাসপোর্টের বইয়ের শুরুতে ব্যক্তির তথ্যসংবলিত যে দুটি পাতা আছে, ই-পাসপোর্টে তা থাকবে না। সেখানে থাকবে পালিমারের তৈরি একটি কার্ড। এই কার্ডের মধ্যে থাকবে একটি চিপ। সেই চিপে পাসপোর্টের বাহকের তথ্য সংরক্ষিত থাকবে।
ই-পাসপোর্টের সব তথ্য কেন্দ্রীয়ভাবে সংরক্ষিত থাকবে ‘পাবলিক কি ডাইরেকটরি’তে (পিকেডি)। ইন্টারপোলসহ বিশ্বের সব বিমান ও স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ এই তথ্যভান্ডারে ঢুকে তথ্য যাচাই করতে পারে। এছাড়া এর মাধ্যমে বাহক কোনো দেশের ভিসার জন্য আবেদন করলে কর্তৃপক্ষ স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে আবেদনকারীর তথ্যের সঙ্গে পিকেডিতে সংরক্ষিত তথ্য যাচাই করে বইয়ের পাতায় ভিসা স্টিকার কিংবা বাতিল করে সিল দেবে। স্থল ও বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষও একই পদ্ধতিতে ই-পাসপোর্টের তথ্য যাচাই করবে।
বর্তমানে দেশে ব্যবহৃত এমআরপি পাসপোর্টের ডেটাবেইসে যেসব তথ্য আছে, তা ই-পাসপোর্টে স্থানান্তর করা হবে। ই-পাসপোর্ট চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এমআরপি পাসপোর্ট বাতিল হয়ে যাবে না। তবে কারও পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে তাঁকে এমআরপির বদলে ই-পাসপোর্ট নিতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :