শিরোনাম
◈ ভারতে লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় ভোট পড়েছে ৬০.৭ শতাংশ ◈ তীব্র তাপদাহে স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত গণবিরোধী: বিএনপি ◈ রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় কাজ করবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী ◈ বিএনপি দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে: ওবায়দুল কাদের ◈ উপজেলা নির্বাচনে হার্ডলাইনে বিএনপি, ৭৩ নেতা বহিষ্কার ◈ যুদ্ধ বন্ধের শর্তেই ইসরায়েলি জিম্মিদের ছাড়বে হামাস ◈ হরলিক্স আর স্বাস্থ্যকর পানীয় নয়  ◈ বাংলাদেশে চিকিৎসা সুবিধায় থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী ◈ যে কোনো ভিসাধারী পবিত্র ওমরাহ পালন করতে পারবেন 

প্রকাশিত : ২৪ মে, ২০১৮, ০৪:৫৯ সকাল
আপডেট : ২৪ মে, ২০১৮, ০৪:৫৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ধ্বংস হচ্ছে বন্ধ থাকা দেশের শতাধিক রেল স্টেশন

হ্যাপী আক্তার : রক্ষাণাবেক্ষণের অভাবে ধ্বংস হচ্ছে দেশে বন্ধ থাকা প্রায় শতাধিক রেল স্টেশনের মূল ভবনের স্থাপনা। অবকাঠামো নিয়ে স্টেশনগুলো দাঁড়িয়ে থাকলেও বন্ধ করে দিতে হয়েছে কার্যক্রম। শুধুমাত্র রেলের ঢাকা বিভাগই পরিত্যক্ত স্টেশন রয়েছে ২০টি। বন্ধ থাকা এসব স্টেশনে অহেলা আর অযত্নে নষ্ট হচ্ছে মূল্যবান সব যন্ত্রাংশ। অন্য দিকে যোগাযোগ নিয়ে বিপাকে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। রেল মহাপরিচালক বলছেন, কিছু সমস্যা কারণে বন্ধ থাকে এসব স্টেশন চালু করা যাচ্ছে না। তবে, অল্প সময়েরই মধ্যেই কার্যকর উদ্যোগ নেয়ার আশ্বাস রেলমন্ত্রীর।

বন্ধ হয়ে যাওয়া স্টেশনগুলোকে দেখার কেউ না থাকায় কর্মচারী ভবন দখল হয়ে গেছে। তার সাথে চুরি হয়ে গেছে ভবনগুলোর মূল্যবান জিনিসপত্রসহ রেলের প্রয়োজনীয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ। এছাড়া সারা দেশে এই মুহুর্তে বন্ধ স্টেশনের সংখ্যা শতাধিক। শুধুমাত্র রেলের ঢাকা বিভাগই পরিত্যক্ত স্টেশনের সংখ্যা রয়েছে ২০টি।

এক সময়ের কোলাহলপূর্ণ ইজ্জতপুর রেলস্টেশন এখন আর চলু নেই। কোনো কোলাহল নেই, আছে শুধুই সুনসান নীরবতা। ঢাকার অদূরে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার এই স্টেশনটি গড়ে ওঠে ১৯৬৭ সালে। দীর্ঘ পঞ্চাশ বছর সচল থাকার পর ২০১৩ সালে বন্ধ হয়ে যায় স্টেশনটি। ফলে বেশ বিপাকে পড়তে হয়েছে ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটের স্থানীয় যাত্রীদের।

এলাকাবাসী বলছেন, স্টেশনের সবসময় লোকজন থাকতো। এলাকার ফল ও অন্যান্য আবাদি ফসলগুলো ঢাকায় নিতে পারছি না। যার কারণে ব্যবসাও থেমে আছে একরকমের। তার সাথে রোগী নিয়েও অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয়। যার করাণে এলাকায় চালাচলে অনেক কষ্ট হয়। কর্তৃপক্ষ শুধু আশ্বাসই দিচ্ছে, স্টেশনটি খুলার কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।

বেহাল দশা অপারেটর কক্ষসহ অন্যান্য স্থাপনার।খসে পড়তে শুরু করেছে কর্মচারীদের থাকার জন্য বানানো আবাসিক ভবন। ঘন জঙ্গল আর লতাপাতায় ঢেকে যাওয়া কক্ষগুলো এখন সাপ বিচ্ছুর আবাস স্থল।

রেলওয়ের মহাপরিচালক আমজাদ হোসেন বলেছেন, পুরনো স্টেশনগুলো চালু করা যাচ্ছে না মূলত দরকারি জনবলের সংকটের কারণে। বিশাল গ্যাপ পূরণ করতে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।

রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেছেন, কিছু লোকবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এবং কিছু স্টেশনও চালু করা হয়েছে। আরও কিছু লোক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। এটা হলে বাকি স্টেশনগুলোও চালু হবে।

রেলমন্ত্রী আশার কথা জানালেও বাংলাদেশে পরিত্যাক্ত রেলস্টেশনের সংখ্যা প্রায় শতাধিক। রেল পরিচালনায় ৪২ হাজার জনবল প্রয়োজন হলেও আছে মাত্র ২২ হাজার। যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দ্রুত এই বন্ধ স্টেশনগুলো খুলে দিলে কিছুটা হলেও গতি ফিরে পেতে পারে। সূত্র : সময় টিভি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়