সজিব খান: সাপ্তাহিক পত্রিকার সম্পাদক গোলাম মোর্তোজা বলেছেন, মাদক ব্যবসায়ীদের বিচার না করে তাদেরকে হত্যা করাটা আইনের শাসনের পরিপন্থি কাজ। যাদের হত্যা করা হচ্ছে তারা হয়তো চোরাকারবারী বা মাদক বিক্রেতা। কিন্তু তারা তো অত বড় মাদকের চোরাকারবারী নয় যত বড় চোরাকারবারীদের আমরা বর্তমান সময়ে বিভিন্ন জায়গাতে দেখছি। তাই এখন সেই বড় চোরাকারবারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে সরকারের করা প্রতিষ্ঠানের তালিকাগুলোতে যাদের নাম থাকলো, তাদেরকে আপনি যদি তদন্ত ছাড়া দায়মুক্তি দিয়ে দেন আর ছোট ছোট অপরাধীদের বিরুদ্ধে বা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যদি আপনি ব্যবস্থা নেন এবং সেই ব্যবস্থাটা যদি মৃত্যুর কারণ হয়। তাহলে সেটা নিয়ে সমাজে খুব বড় রকমের প্রশ্ন থাকে এবং সমাজে সেই প্রশ্নটি আছে।
বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আইয়ে’র নিয়মিত অনুষ্ঠান ‘আজকের সংবাদ পত্র’ এ দেওয়া সাক্ষাতকারে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বরিশালের একটি ঘটনা। তার হাবিবুর রহমানের এক পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, র্যাব খুঁজতে গিয়েছিল হাবিব শেখ নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে কিন্তু র্যাবের যে সোর্স মোশাররফ হোসেন সে তার সঙ্গে শত্রুতার জের হিসেবে হাবিব শেখের পরিবর্তে হাবিবুর রহমানকে ধরিয়ে দেয় এবং হাবিবুর রহমান বন্ধুকযুদ্ধে নিহত হয়। পরবর্তিতে জানা যায় ভুল তথ্যের কারণে হাবিব শেখের পরিবর্তে হাবিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়েছে। পরবর্তিতে পুলিশের সেই সোর্স মোশাররফ হোসেন সেও বন্ধুক যুদ্ধে হত্যাকান্ডের শিকার হয়। ধরেন এই অভিযোগ সত্য বা মিথ্যা আমরা জানি না। হাবিব শেখের পরিবর্তে হাবিবুর রহমান নিহত হয়েছেন ঘটনা টা সত্যি কিনা আমরা জানি না।তিবে নিহত হয়েছেন ঠিকই। ঘটনাটি সত্য কিনা আমরা জানি না। কিন্তু একটি অভিযোগ যখন আসে সেটা তো খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনি কী নিরপরাধ একজন মানুষকে ভুল তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেফতার করতে পারেন, জেলে রাখতে পারেন। কিন্তু তার মৃত্যুর কারণ তো হতে পারেন না।
গোলাম মোর্তোজা বলেন, এরকম ঘটনা যে আরো ঘটছে না বা আরো ঘটবে না। এই যে ১০ দিন বা ৫ দিনে ৪০ জন বেশি মানুষের হত্যাকান্ড এটাতো কোনোভাবে জাস্টিফাই করা যায় না। আপনি মাদকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন। কিন্তু নিরপরাধ মানুষকে হয়রানি করা থেকে রক্ষা করা দরকার।
বিচার ছাড়া, তথ্য প্রমাণ ছাড়া শাস্তি দিয়ে দেয়া বা মৃত্যুর কারণ হয়ে যাওয়া কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। আপনারা মাদক বিরোধী অভিযান করেন, অপরাধীদের ধরেন, বিচারের আওতায় আনেন। আইন যদি না থাকে আইন নতুন করে তৈরি করেন, ঠিক মতো রিপোর্ট দেন। আদালতে যদি তারা শাস্তি প্রমাণ না হয়। সে জায়গাতে কিছু করার থাকলে করেন। কিন্তু মৃত্যুর কারণ হবেন না।
আপনার মতামত লিখুন :