রফিক আহমেদ : বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ ও সমমনা ১৩ দলের নেতৃবৃন্দ বলেছেন- মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষা, ঢাকাসহ সারাদেশে মসজিদ ভাঙ্গার হোতাদের গ্রেফতার, দেওয়ানবাগীর ইসলাম অবমাননা ও ধৃষ্টতার প্রতিবাদ, তামিল টাইগারদের ন্যায় পার্বত্য সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালানো, মাদরাসার ৩২টি পাঠ্যপুস্তক থেকে কোন আয়াত শরীফ বাদ না দেওয়া, ভারতীয় চ্যানেল ও সিরিয়াল অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচিতে নেতারা এসব কথা বলেন।

নেতৃবৃন্দ বলেন, আসন্ন পবিত্র রমজান মাসকে ঘিরে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার সরকারের হাঁকডাকের কোনো তোয়াক্কাই করছে না অসৎ সিন্ডিকেট। অথচ দুবাই, কাতার, ওমান, আরব আমিরাত, সৌদি আরব, প্রভৃতি দেশে পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষ্যে ব্যবসায়ীরা শতকরা ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিয়ে থাকে। ছাড় দেওয়ার এক প্রকার প্রতিযোগিতা লক্ষ্য করা যায় সেসব দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে। বিশ্বের অন্যান্য দেশে বিভিন্ন উৎসবে জিনিসপত্রের দাম কমলেও আমাদের দেশের চিত্র বিপরীত।
নেতৃবৃন্দ বলেন, রমজানে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির পেছনে ৮৬ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ওলামা লীগ জিহাদ ঘোষণা করছে। এছাড়া আসন্ন রমজান মাসে স্কুল-কলেজ-ভার্সিটিতে সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রাখতে হবে এবং ৪৫ দিনের ছুটি দিতে হবে। পাশাপাশি ঈদে ১০দিন জাতীয় ছুটি দিতে হবে। রমজান মাসে বিশ্বকাপসহ সব ধরনের খেলাধূলা বন্ধ, দ্রব্যমূল্য হ্রাস এবং টিভি চ্যানেলে অশ্লীল অশালীন নাচ-গান বন্ধ করতে হবে। ভারতীয় টিভি চ্যানেল ও সিরিয়াল নিষিদ্ধ করতে হবে।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, সদরঘাটে বাইতুন নাজাত মসজিদ, পোস্তগোলায় গাউসে পাক মসজিদ, কুড়িল মসজিদ ভাঙ্গার হোতারাসহ বুড়িগঙ্গা নদী তীরের অনেক মসজিদ এবং এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের নামে ৫০টি মসজিদ ভাঙ্গার হোতাদের গ্রেফতার করতে হবে। অন্যথায় মসজিদ বিরোধী দুষমনদের প্রতিহত করা হবে।

এছাড়াও আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে যুদ্ধাপরাধী, রাজাকার, জঙ্গি ও মৌলবাদীদের প্রতিহত করতে যুদ্ধাপরাধী জামায়াত-শিবিরসহ সকল ধর্মব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক জনমত গড়ে তুলবে বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ।

বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের আলহাজ মাওলানা মুহম্মদ আখতার হুসাইন বুখারীর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ কাজী মাওলানা মুহম্মদ আবুল হাসান শেখ, সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদ এর সভাপতি আলহাজ্জ হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ আব্দুস সাত্তার, মাওলানা মুহম্মদ শওকত আলী শেখ ছিলিমপুরী, হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল জলিল, হাফেজ মাওলানা মোস্তফা চৌধুরী বাগেরহাটি, মাওলানা মুহম্মদ শোয়েব আহমেদ, মাওলানা আল আমীন, ক্বারী ও মাওলানা আসাদদুজ্জামানসহ ১৩টি ইসলামী সমমনা সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।