তাবলীগ জামাত এক সময়ে ইসলামি ছিলো। আজ আর মনে হয় ইসলামি দল হিসেবে নেই। ইসলাম কি বলে যে, তোমরা নিজের সাথি ভাইদের সাথে মারামারি করো? তিন-চার বছর ধরেই এই দলাদলি চলছে। বাংলাদেশ তাবলিগ-জামাত পরিচালনা কমিটির শূরা সদস্য ১১ জন। এর মধ্যে সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম ও হাফেজ মাওলানা জুবায়েরের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব ও গ্রুপিং রয়েছে। তারা একে অপরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও তুলেছেন। এর আগে মাসোয়ারায় ঝামেলা হওয়ায় কোনও বৈঠক হতো না।
অনেকদিন পর মঙ্গলবার বৈঠক শুরু হয়। এ সময় ওয়াসিফুল ও জুবায়ের গ্রুপ একে অন্যের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করতে থাকেন। তখন দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। প্রথমে ধাক্কাধাক্কি, এরপর হাতাহাতি হয়। এ সময় কওমী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা জুবায়ের গ্রুপের পক্ষে লাঠিসোটা নিয়ে ওয়াসিফুল গ্রুপকে ধাওয়া করে। তখন পুরো এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মাসোয়ারা কক্ষসহ মসজিদের ভেতরের কয়েকটি কক্ষ ভাঙচুর করা হয়।
পরিচিতি : তাবলীগ জামাতের সাথী/মতামত গ্রহণ : মো. এনামুল হক এনা/সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ