জুয়াইরিয়া ফৌজিয়া : বর্তমান সরকার তারেক ফোবিয়ায় ভুগছে। অনেক রকম ফোবিয়া আছে। যেমন- কেউ উচ্চতা দেখলে ভয় পায়, কেউ পানি দেখলে ভয় পায়। তেমনি বর্তমান সরকার বহু বছর যাবত তারেক ফোবিয়ায় ভুগছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।
একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা এ মন্তব্য করেন।
আরো পড়ুন : বিএনপির রাজনীতিতে জোবাইদা ও সিঁথিকে নিয়ে জল্পনা-কল্পনা
তিনি আরও বলেন, বিশেষ করে ২০১৪তে যখন তারা মেনডেটবিহীনভাবে ক্ষমতায় এসে চেপে বসলো, তখন থেকে যেন তাদের তারেক ভীতিটা আরও অনেক বেশি বেড়ে গেছে। এমনকি তারেক রহমানের কোনো বক্তব্য, অডিও কিংবা ভিডিও কোথাও প্রচার করার ব্যাপারে সব জায়গাই কিন্তু আইনি নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। অর্থাৎ ভয় বা ভীতি কতদূর গেলে যে একজনের বক্তব্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। তারেক রহমানের বক্তব্য দেশের মানুষকে কতখানি উজ্জীবিত করতে পারবে যেটার ভয় থেকেই এটা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আদালতের স্বাধীনতা আছে কিনা সেটা নিয়েও একটা বিরাট প্রশ্ন আছে। আর লোয়ার কোর্টের রায়ে কিন্তু তারেক রহমান খালাস পেয়েছিল। তবে পরে হাইকোর্ট তাকে সাজা দেয়। যেই জজ লোয়ার কোর্টে রায় দিয়েছিল তিনি কিন্তু আর দেশে থাকতে পারেনি, তাকে বিদেশে চলে যেতে হয়েছে।
আরো পড়ুন : তারেকের নির্বাসিত জীবন: দলের জন্য চ্যালেঞ্জ?
রুমিন ফারহানা আর বলেন, তারেক রহমান যে তৃণমূলের প্রাণ এবং তৃণমূলে যে তিনি ব্যাপক কাজ করেছেন, পাশাপাশি তারেক রহমানের জনপ্রিয়তা যে ব্যাপক সে ব্যাপারে যতটা না বিএনপি অবহিত আমার মনে হয় আওয়ামী লীগ তারচেয়ে বেশি অবহিত। যে কারণে তারেক রহমানের ব্যাপারে নানা রকম মিথ্যা প্রোপাগান্ডা তারা ছড়িয়েছে। কিন্তু কি আশ্চর্য ব্যাপার জনগণের মন থেকে তারেক রহমানকে কিন্তু মুছে ফেলা যায়নি।
আরো পড়ুন : তারেক রহমান ইস্যুতে অাড়ালে খুলনা-গাজীপুর সিটি নির্বাচন
তিনি বলেন, আর পাসপোর্ট কি? বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে খোঁজ নিয়ে দেখেন কতজনের পাসপোর্ট আছে। এইজন্য যে কোটি কোটি মানুষের পাসপোর্ট নেই, তারা কি বাংলাদেশের নাগরিক নয়? তারা নিশ্চয় বাংলাদেশের নাগরিক। পাসপোর্ট হচ্ছে একটা ট্রাভেলস ডকুমেন্ট। এছাড়া বলা হয়েছে তারেক রহমান নাকি বিগত কয়েক বছরে অনেক রকম ব্রিটিশ নিয়মকানন ভঙ্গ করেছেন। তাই আমার খুব বিনীত প্রশ্ন এগুলো দেখবার দায়িত্ব কার? এটাকি আওয়ামী লীগ সরকার দেখবে নাকি ব্রিটিশ গর্ভমেন্ট দেখবে। যদি বিট্রিশ গভমেন্টের দেখার দায়িত্ব হয় তাহলে এটাতো আওয়ামী লীগের মাথা ব্যাথা হওয়ার কথা নয়। এটা আওয়ামী লীগের মাথা ব্যাথ্যা তখনই হয়, যখন তারা নানা রকম মিথ্যা প্রোপাগান্ডা চালাই। আর এই মিথ্যা প্রোপাগান্ডা চালাতে গিয়ে আওয়ামী লীগ বার বার যেমন অতীতেও ধরা খেয়েছে, এবারও কিন্তু তারা এই রকমভাবে ধরা খাচ্ছে।
সূত্র: চ্যানেল আই
আপনার মতামত লিখুন :