শিরোনাম
◈ রুমিন ফারহানাকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে যা বললেন আরজে কিবরিয়া ◈ মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যদের ওপর ডাকাত দলের হামলা, গোলাগুলি ◈ কাপাসিয়ার কামারগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়: বিনা ছুটিতে আমেরিকা বসে বেতন নিচ্ছেন প্রধান শিক্ষক ◈ চীনের বাঁধে ভারতের পানিঝুঁকি, বাড়ছে সংঘাতের আশঙ্কা ◈ যুক্তরাষ্ট্রের সাথে উত্তেজনা প্রশমণে ভারতের লবিং ফার্ম নিয়োগ  ◈ বাংলাদেশ–পাকিস্তান সম্পর্কের স্থায়িত্বে প্রয়োজন ক্ষমা প্রার্থনা: বিশেষজ্ঞদের মত ◈ ডেঙ্গুতে আরো ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪১২ ◈ ‌‌‌'আন্দোলনের সময় ছাত্রদের ন..গ্ন ভিডিও করে রেখে দিতেন তৌহিদ আফ্রিদি' (ভিডিও) ◈ রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বাংলাদেশের পাশে থাকার অঙ্গীকার পশ্চিমা বিশ্বের ১১ দেশের ◈ কারাগারে সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের হার্ট অ্যাটাক

প্রকাশিত : ১২ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ দুপুর
আপডেট : ১২ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সরকারি দলের নেতাদের সংযত হওয়ার কঠিন পরামর্শ

রাশিদ রিয়াজ : কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর দুই বক্তব্য নিয়ে রীতিমত শিউরে উঠেছেন অনেকে। রাজপথে কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্রদের হাতে প্ল্যাকার্ডে শোভা পাচ্ছে, ‘চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার’। অর্থমন্ত্রী অবশ্য বয়স্ক হবার কারণে মুখ ফস্কে যা কিছু বের হোক তার জন্যে পরের দিনই বলেছেন, কি বলতে কি বলেছি। পরিস্থিতি আঁচ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যে কোনো ধরনের বিভ্রান্তি এড়াতে বুধবার বলেছেন, সরকারের যে কোনো স্পর্শকাতর বিষয়ে দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য বলা থেকে বিরত থাকুন।

বুধবার ছাত্রলীগের একাধিক নেতা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের কথা জানিয়ে বলেন, সরকারি চাকরিতে কোনো কোটাই থাকছে না। এরপর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেন বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনা যা বলেন তা করেন। পলক তার ফেসুবকে লিখেছেন, সরকারি চাকরিতে কোনো কোটা থাকবে না। যেখানে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদে কোটা নিয়ে তার বক্তব্য দিতে যাচ্ছেন বলে আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তারপরও কোটা নিয়ে কোনো বক্তব্য সুনির্দিষ্টভাবে ছাড়া না রাখলেই কি নয়।

এমনিতে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর ওপর ক্ষেপে আছে আওয়ামী লীগের নেতা ও কর্মীরা। মঙ্গলবার রাতে আওয়ামী লীগের কয়েকজন সিনিয়র নেতা গণভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অর্থমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কথা বলেন। ‘অর্থমন্ত্রী বয়স্ক হয়েছেন, তিনি সবার শ্রদ্ধেয় এজন্য তিনি যা ইচ্ছা বক্তব্য রাখতে পারেন না’, এরকম মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের একজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, ‘আপা, মুহিত সাহেবকে থামতে বলেন। উনি তো একটার পর একটা ইস্যু তৈরি করছেন।’ প্রধানমন্ত্রী নিজেও অর্থমন্ত্রীর নানা বক্তব্যে বিব্রত। গতরাতেও প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন বিষয়ে অর্থমন্ত্রী কিভাবে তাকে এবং সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলেছেন তার বর্ণনা দেন। প্রধানমন্ত্রী প্রথমে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপা, যে কাজ দেবেন করবো, শুধু এইটা দিয়েন না। পরে আমার উপরও বক্তৃতা দেবে।’ এরপর প্রধানমন্ত্রী নিজেই অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার সিদ্ধান্ত নেন। দলের মন্ত্রী এবং নেতাদের কথা বলার ক্ষেত্রে সংযত হবার পরামর্শও দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার সকাল থেকেই কোটা সংস্কার সম্পর্কে অনেকের সঙ্গে শলাপরামর্শ করেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা।বিষয়টি অত্যন্ত সংবেদনশীল হওয়ার কারণে আওয়ামী লীগ নেতারা এ নিয়ে ভেবে চিন্তে সুচিন্তিত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে চাচ্ছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়