শিরোনাম
◈ ভারতে লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় ভোট পড়েছে ৬০.৭ শতাংশ ◈ তীব্র তাপদাহে স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত গণবিরোধী: বিএনপি ◈ রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় কাজ করবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী ◈ বিএনপি দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে: ওবায়দুল কাদের ◈ উপজেলা নির্বাচনে হার্ডলাইনে বিএনপি, ৭৩ নেতা বহিষ্কার ◈ যুদ্ধ বন্ধের শর্তেই ইসরায়েলি জিম্মিদের ছাড়বে হামাস ◈ হরলিক্স আর স্বাস্থ্যকর পানীয় নয়  ◈ বাংলাদেশে চিকিৎসা সুবিধায় থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী ◈ যে কোনো ভিসাধারী পবিত্র ওমরাহ পালন করতে পারবেন 

প্রকাশিত : ০৯ এপ্রিল, ২০১৮, ০২:৪৪ রাত
আপডেট : ০৯ এপ্রিল, ২০১৮, ০২:৪৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিধবা ভাতা নিতে এসে হালিমা জানতে পারেন তিনি মারা গেছেন!

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: শাহজাদপুর উপজেলার বাচড়া গ্রামের বৃদ্ধা হালিমা বেওয়া বিধবা ভাতা তুলতে এসে জানতে পারলেন তিনি মারা গেছেন। শুধু তাই নয়, তার নামে ইস্যু করা ভাতার কার্ডটি বাতিল করে উৎকোচের বিনিময়ে একই গ্রামের মৃত আব্দুল কাদেরের স্ত্রী আলেয়া খাতুনের নামে ইস্যু করা হয়েছে।

এদিকে জীবিত মানুষকে মৃত দেখিয়ে তার ভাতার কার্ড উৎকোচের বিনিময়ে অন্যজনের নামে ইস্যু করার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, উপজেলার পোরজনা ইউনিয়নের বাচড়া গ্রামের মৃত নবীর হোসেনের স্ত্রী হালিমা বেওয়ার নামে ২০০৮ সালে আগে ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে বিধবা ভাতার কার্ড ইস্যু করা হয়। সেই থেকে তিনি বিধি মোতবেক নিয়মিতভাবে ভাতার টাকা তুলে আসছিলেন। এর ধারাবাহিকতায় গত মাসের শেষ সপ্তাহে হালিমা বেওয়া তার ভাতার টাকা তুলতে স্থানীয় সোনালী ব্যাংক শাখায় যান।

এ সময় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাকে জানায় ২০১৬ সালের ১৩ এপ্রিল হালিমা বেওয়া মারা গেছে মর্মে পোরজনা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ২০১৭ সালের ১২ আগস্ট তারিখে ইস্যুকৃত একটি মৃত্যু সনদপত্র দাখিল করা হয়েছে। ফলে হালিমা বেওয়ার নামের ভাতার কার্ডটি বাতিল করে অন্য এক বিধবার নামে ইস্যু করা হয়েছে। এ সময় তিনি নিজেকে জীবিত দাবি করে বলেন, আমি মারা গেলে স্ব-শরীরে এখানে হাজির হলাম কীভাবে। এক পর্যায়ে তিনি তার ভাতার কার্ডের ছবির সঙ্গে তার চেহারার মিলিয়ে নিয়ে ভাতার টাকা দেয়ার দাবি করলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাকে উপজেলা সমাজসেবা অফিসে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেয়। পরদিন হালিমা বেওয়া সমাজসেবা অফিসে গেলে বিয়ষটি ফাঁস হয়ে যায়।

হালিমা বেওয়া অভিযোগ করেন, ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম মুকুল ও স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার মজিবর রহমান যোগসাজশে ৪ হাজার টাকার বিনিময়ে তাকে মৃত দেখিয়ে আলেয়া খাতুনের নামে বিধবা ভাতার কার্ড ইস্যু করেছেন। এ ব্যাপারে পোরজনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম মুকুল উৎকোচ নেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, ইউপি সদস্য মজিবর তাকে ভুল তথ্য দিয়ে হালিমা বেওয়ার মৃত্যু সনদে স্বাক্ষর নিয়েছে।

অন্যদিকে ইউপি সদস্য মজিবর রহমান বলেন, এটি কোনো দোষের নয়, ভুলবশত হয়েছে পরবর্তীতে ঠিক করে দেয়া হবে। এ বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার (দায়িত্বপ্রাপ্ত) আব্দুল মোতালেবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ঘটনাটি তার নজরে এসেছে। আলেয়া খাতুনের নামের কার্ড বাতিল করে হালিমা বেওয়ার নামে বিধবা ভাতার কার্ড পুনরায় ইস্যু করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়