শিরোনাম
◈ হায়দার আকবর খান রনো মারা গেছেন ◈ ডোনাল্ড লু’র ছয়দিনের সফর শুরু, ভারত ও শ্রীলঙ্কা হয়ে বাংলাদেশ আসছেন ১৪ মে ◈ লোহাগড়ায় দুর্বৃত্তের গুলিতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু ◈ সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়ার প্রস্তাব পাস  ◈ জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে টানা চার জয় বাংলাদেশের ◈ বন্দি ফিলিস্তিনিদের উপর ইসরায়েলি বাহিনীর অমানবিক নির্যাতনের তথ্য-ছবি ফাঁস ◈ গাজার রাফাহজুড়ে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা ও বোমাবর্ষণ ◈ কোনো ভর্তুকি ছাড়াই নিজস্ব আয় থেকে উড়োজাহাজের মূল্য পরিশোধ করছে বিমান ◈ আওয়ামী লীগ মাঠে না থাকলে বিএনপি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাবে: ওবায়দুল কাদের ◈ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা শেষ, এখন চলবে ফাইজার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২১ মার্চ, ২০১৮, ০৮:১১ সকাল
আপডেট : ২১ মার্চ, ২০১৮, ০৮:১১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বঙ্গবন্ধুর ৪১ ফুট উঁচু আবক্ষ ভাস্কর্য

ডেস্ক রিপোর্ট : মুক্তিযুদ্ধের পর চট্টগ্রামে গিয়ে একটি সর্বাধুনিক নেভাল একাডেমি গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর এই একাডেমিতেই তার নামে হলো কমপ্লেক্স। সেখানে তৈরি হলো বঙ্গবন্ধুর ৪১ ফুট উঁচু ভাস্কর্য।

এই ভাস্কর্যটি আবক্ষ। অর্থাৎ মাথা থেকে বুক পর্যন্ত। বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্সের সামনেই রাখা হয়েছে এটি।

মাটি থেকে ভাস্কর্যটির মোট উচ্চতা ৪১ ফুট হলেও কেবল ভাস্কর্যটির উচ্চতা ১৮ ফুট। তার ২৩ ফুট উঁচু একটি বেদীতে এটি বসানো হয়েছে।

২০১০ সালে এই কমপ্লেক্সের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাহাজের আদলে করা ওই কমপ্লেক্সের সামনেই স্থাপন করা হয়েছে প্রায় ১৮ টনের এই ভাস্কর্যটি।

সকাল পৌনে ১১টায় প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী একটি হেলিকপ্টার নৌবাহিনীর ঈশা খাঁ ঘাঁটিতে অবতরণ করেন। সেখান থেকে ১১টার দিকে মঞ্চে আসেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর বাংলাদেশ নেভাল একাডেমিতে বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করেন।

বাংলাদেশে জাতির পিতার এত বড় আবক্ষ ভাস্কর্য এর আগে নির্মাণ করা হয়নি। প্রায় দুই বছর ধরে শিল্পী ও কারিগরদের নিরলস পরিশ্রম, মেধা ও মননের এক অভূতপূর্ব সমন্বয়ে করা হয়েছে ভাস্কর্যটি।

ভাস্কর্য শিল্পী সুদীপ্ত মল্লিক সুইডেন। তিনি ঐতিহ্যবাহী দোকড়া পদ্ধতিতে চারটি ধাপে এটি নির্মাণ করেছেন। প্রথম ধাপে কাঁদামাটি দিয়ে মূল ভাস্কর্যটি তৈরি করা হয়। দ্বিতীয় ধাপে প্লাস্টার অব প্যারিস দিয়ে ছাঁচ তৈরি করা হয়।

তৃতীয় ধাপে এই ছাঁচের ভেতর মোম ও মাটির প্রলেপ দিয়ে হলোকাস্টিং মল্ড তৈরি করা হয়। চতুর্থ ধাপে এই হলোকাস্টিং মল্ডকে উচ্চতাপে আগুনে পোড়ানো হলে ভেতরের মোম গলে বেরিয়ে আসে এবং ছাঁচটি শক্ত আকার ধারণ করে।

এই ছাঁচের ভিতর ১৫০০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় তরল ব্রোঞ্জ ঢালা হয়। পরে এই মাটির ছাঁচগুলোকে ভেঙে ভাস্কর্যের বিভিন্ন অংশগুলো বের করে জোড়া দিয়ে ভাস্কর্যের পূর্ণাঙ্গ অবয়ব তৈরি করা হয়।

ভাস্কর্যটি কালো পাথরের বেদিতে সাদা মার্বেলের উপর স্থাপিত যা পরাধীনতার অন্ধকার থেকে আলোর পথে বেরিয়ে আসার প্রতীক।

বঙ্গবন্ধু তাকিয়ে আছেন অবারিত দূর সমুদ্রপানে। চোখে তার সোনার বাংলাদেশের স্বপ্ন। সেই উপলব্ধিকেই বাস্তবে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন শিল্পী সুদীপ্ত মল্লিক।

ভাস্কর্যটি উদ্বোধনের পর এর বেদীতে দাঁড়িয়ে নৌবাহিনী স্কুল ও কলেজের এক শিক্ষার্থী বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তার মায়ের লেখা কবিতা আবৃত্তি করে শোনায়। এরপর নৌবাহিনীর ক্যাডেট এবং শিক্ষার্থীদের মনোজ্ঞ ডিসপ্লে উপভোগ করেন প্রধানমন্ত্রী। সূত্র : ঢাকা টাইমস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়