তিনি বলেন, তার সম্পর্কে যে তর্ক আছে, তা বয়স হলে অনেকেরই হয়। আজ এক কথা কাল অন্য কথা। কখনও তিনি ইশ্বরের কথা বলেছেন আবার কখনও তিনি ইশ্বরের কথা প্রত্যাখ্যান করেছেন। কিন্তু এগুলো বাদ দিলেও তার যে জ্ঞান চর্চা, তার যে অবদানের যে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউরোপ-আমেরিকাসহ সারাবিশ্ব তা অতুলনীয়। তরুণ প্রজন্মের কাছে তার জ্ঞান চর্চার ইতিহাস, জ্ঞান চর্চার স্পৃহাটা বিরাট অবদান রাখুক এটাই আমার কামনা।
তিনি আরও বলেন, তার লেখা ঞযব ইৎরবভ ঐরংঃড়ৎু ড়ভ ঞরসব (দ্য ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম) মানব ইতিহাসে সবচেয়ে বিক্রিত বই। আর কোনো বই এতো বই বিক্রি হয়নি। অনেকেই আছে যারা পদার্থ বিজ্ঞান বুঝে না তারাও এই বইটি কিনেছে পদার্থ বিজ্ঞান সম্পর্কে বুঝার জন্য, জানার জন্য। আজকে মানুষের কাছে দুটি প্রশ্ন ঘুরপাক খায়। একটি হলো মানুষের উদ্ভব হলো কী করে, আরেকটি হলো মহাবিশ্বের উদ্ভব হলো কী করে। তিনি জীবনের উদ্ভব সম্পর্কে তেমন কিছু বলেননি যেমনটা বলেছেন মহাবিশ্বের উদ্ভব সম্পর্কে, সময় কীভাবে শুরু হলো, সময়ের সাথে বিগ ব্যাংয়ের কী সম্পর্ক।
তিনি বলেন, তার বইয়ের সবচেয়ে ভালো বৈশিষ্ট হলো তিনি কোনো সমীকরণ ব্যবহার করেননি। আমাদের প্রকৃতি ও মহাবিশ্বের পরিবর্তন, পরিবর্ধন সবকিছুই সমীকরণের মাধ্যমে পরিমাপ করা হয়। কিন্তু তিনি কোনো সমীকরণ ব্যবহার করেননি। এই বইটি কবি-সাহিত্যিক সবাই পড়ে। এটা সবাই যে বুঝতে পারে তাও কিন্তু না। তিনি ইষধপশ ঐড়ষব কৃষ্ণ গহ্বরের কাছে ইবহফরহম খরমযঃ নিয়ে বলেছেন। কীভাবে কৃষ্ণ গহ্বরের কাছে গেলে আলোর কী প্রতিক্রিয়া হয় তা তিনি বলেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :