শিরোনাম
◈ র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে জাস্টিস ডিপার্টমেন্টকে সুপারিশ করা হবে: ডোনাল্ড লু ◈ সালমান এফ রহমানের বাসায় নৈশভোজে ডোনাল্ড লু ◈ সুশীল সমাজের সঙ্গে বৈঠক করেছেন সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ◈ ঢাকার ২৬টি হোটেল-রেস্তোরাঁয় পুলিশ সদস্যদের জন্য মূল্য ছাড়  ◈ ‘জেনোসাইড জো’: যেভাবে যুক্তরাষ্ট্রের বিক্ষোভ বাইডেনের পুনর্নির্বাচনকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে ◈ গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড দেশের ওপর ঋণের বোঝা বাড়াচ্ছে: টিআইবি ◈ তাসকিনকে সহ অধিনায়ক করে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দল ঘোষণা ◈ আজ ঘরে ফিরবেন এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিক ◈ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের কনডেম সেল নিয়ে  রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে রাষ্ট্রপক্ষ ◈ হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন বিএনপি নেতা আলাল

প্রকাশিত : ১৫ মার্চ, ২০১৮, ০৪:৪৭ সকাল
আপডেট : ১৫ মার্চ, ২০১৮, ০৪:৪৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

তিনি দেখিয়ে গেছেন শারীরিক অক্ষমতার মধ্যেই অনেক বড় কিছু করা যায় : ড. এম শমশের আলী

মারুফ হাসান নাসিম : স্টিফেন হকিং হলেন বিশ্বের অন্যতম প্রতিভাবান ব্যক্তি। তিনি শারীরিকভাবে অক্ষম ছিলেন, লেখতে পারতেন না, চলতে পারতেন না। একজন মানুষ যিনি শারীরিকভাবে অক্ষম, যার অল্প একটু দূরে যেতে বাহনের সাহায্য নিতে হয়, সেই মানুষটি মহাবিশ্বের প্রান্ত সীমার খবর জানছেন তার মন দিয়ে। এটা একটা চমৎকার ঘটনা মানব ইতিহাসে। তিনি দেখিয়ে গেছেন, একজন মানুষ তার শারীরিক অক্ষমতার মধ্যেই অনেক বড় কিছু করতে পারে। বিখ্যাত পদার্থ বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিংয়ের মৃত্যুতে তার জীবন ও কর্ম নিয়ে আলাপকালে বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ড. এম শমশের আলী আমাদের অর্থনীতিকে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, তার সম্পর্কে যে তর্ক আছে, তা বয়স হলে অনেকেরই হয়। আজ এক কথা কাল অন্য কথা। কখনও তিনি ইশ্বরের কথা বলেছেন আবার কখনও তিনি ইশ্বরের কথা প্রত্যাখ্যান করেছেন। কিন্তু এগুলো বাদ দিলেও তার যে জ্ঞান চর্চা, তার যে অবদানের যে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউরোপ-আমেরিকাসহ সারাবিশ্ব তা অতুলনীয়। তরুণ প্রজন্মের কাছে তার জ্ঞান চর্চার ইতিহাস, জ্ঞান চর্চার স্পৃহাটা বিরাট অবদান রাখুক এটাই আমার কামনা।

তিনি আরও বলেন, তার লেখা ঞযব ইৎরবভ ঐরংঃড়ৎু ড়ভ ঞরসব (দ্য ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম) মানব ইতিহাসে সবচেয়ে বিক্রিত বই। আর কোনো বই এতো বই বিক্রি হয়নি। অনেকেই আছে যারা পদার্থ বিজ্ঞান বুঝে না তারাও এই বইটি কিনেছে পদার্থ বিজ্ঞান সম্পর্কে বুঝার জন্য, জানার জন্য। আজকে মানুষের কাছে দুটি প্রশ্ন ঘুরপাক খায়। একটি হলো মানুষের উদ্ভব হলো কী করে, আরেকটি হলো মহাবিশ্বের উদ্ভব হলো কী করে। তিনি জীবনের উদ্ভব সম্পর্কে তেমন কিছু বলেননি যেমনটা বলেছেন মহাবিশ্বের উদ্ভব সম্পর্কে, সময় কীভাবে শুরু হলো, সময়ের সাথে বিগ ব্যাংয়ের কী সম্পর্ক।

তিনি বলেন, তার বইয়ের সবচেয়ে ভালো বৈশিষ্ট হলো তিনি কোনো সমীকরণ ব্যবহার করেননি। আমাদের প্রকৃতি ও মহাবিশ্বের পরিবর্তন, পরিবর্ধন সবকিছুই সমীকরণের মাধ্যমে পরিমাপ করা হয়। কিন্তু তিনি কোনো সমীকরণ ব্যবহার করেননি। এই বইটি কবি-সাহিত্যিক সবাই পড়ে। এটা সবাই যে বুঝতে পারে তাও কিন্তু না। তিনি ইষধপশ ঐড়ষব কৃষ্ণ গহ্বরের কাছে ইবহফরহম খরমযঃ নিয়ে বলেছেন। কীভাবে কৃষ্ণ গহ্বরের কাছে গেলে আলোর কী প্রতিক্রিয়া হয় তা তিনি বলেছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়