জান্নাতুর ফেরদৌসী: নেপালের কাঠমান্ডুতে ইউএস-বাংলা এয়ারের বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতদের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। এ পর্যন্ত ২৬ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। ৮ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন খুলনা, বরিশাল, যশোর, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, শরীয়তপুর, গাজীপুর, রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের অন্তত ১৫ জন। এরমধ্যে যশোর ও গাজীপুরের একই পরিবারের ৩ জন করে সদস্য রয়েছেন। এছাড়া, দুর্ঘটনা কবলিত হয়েছেন সিলেটের রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজের নেপালি ১৩ শিক্ষার্থী। ৩ দিনের শোক ঘোষণা করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ব ঘুরে দেখার নেশা ছিল বরিশালের পিয়াস রায়ের। গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজ থেকে ফাইনাল পরীক্ষার পর নেপাল ভ্রমনে যান। নেপালে বিমান বিধ্বস্ত ঘটনায় তিনিও মারা যান।
প্লেনের উঠার সময় কথা হয়। তার পর আর কোনো কথা হয়নি বলে কান্নাকাটি করছেন পিয়াসের মা।
যশোরের সানজিদা হক বিপাশা, তার স্বামী রফিক জামান ও একমাত্র সন্তান অনিরুদ্ধকে নিয়ে নেপালে গিয়েছিলেন ঘুরতে। বিমান বিদ্ধস্তের ঘটনায় তারা সবাই মারা যান।
বিমান দুর্ঘটনার খবরে, টাঙ্গাইলের এমরানা কবির হাসি ও সিরাজগঞ্জের রকিবুল হাসানের পরিবারে চলছে শোকের মাতম।
রুয়েটের শিক্ষক এমরানা কবির হাসি ও তার স্বামী রকিবুল হাসান ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন নেপালে। বিমান দুর্ঘটনায় রকিবুল হাসান মারা যান আর এমরানা কবির হাসি, স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
নিহতের খবরে শোকের মাতন চলছে শরীয়তপুরে ফয়সাল আহমেদের পরিবারে। তিনি বৈশাখী টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টারস ছিলেন।
পারিবারিক ভ্রমণের গিয়েছিলেন গাজীপুরের ফারুক আহমেদের পরিবারের ৪ সদস্য। হারিয়েছেন একমাত্র সন্তানকে।
সিলেটের জালালাবাদে রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজের নেপালি ১৩ শিক্ষার্থী। শোকে মাতন প্রতিষ্ঠানটি। সূত্র: চ্যানেল টোয়েন্টিফোর
আপনার মতামত লিখুন :