স্পোর্টস ডেস্ক : আইসিসির সহযোগী দেশ কানাডা। কিছুদিন আগে ঘরের মাঠে ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিক্তিক গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগ আয়োজনের অনুমতি চেয়ে আইসিসির কাছে আবেদনপত্র জমা দিয়েছিল কানাডা ক্রিকেট বোর্ড।
তাদের সেই আবেদনপত্র অনুযায়ী গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগ আয়োজন করতে কানাডাকে অনুমতি দিয়েছে আইসিসি। ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক এই লিগে ছয়টি দল অংশ নিবে। যা হতে যাচ্ছে উত্তর আমেরিকান অঞ্চলে প্রথম কোনো টি-টোয়েন্টি লিগ।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে জুলাইতে মাঠে গড়াবে এই লিগ। তিনটি ভেন্যুতে হবে ম্যাচগুলো। তার মধ্যে রয়েছে টরেন্টো ক্রিকেট স্কেটিং এন্ড কার্লিং ক্লাব মাঠ, সানিব্রুক পার্ক ও ম্যাপল লিফ ক্রিকেট ক্লাব মাঠ। ইতিমধ্যে এই ভেন্যুগুলোর সংস্কার কাজও শুরু হয়ে গেছে।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে সম্প্রতি এই লিগের প্রচারণায় অংশ নিতে দেখা গেছে। তিনি ভারত সফরেও এই লিগের প্রচারণা চালিয়েছেন।
এই ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক লিগের ব্যবস্থাপনায় রয়েছে মার্কারি গ্রুপ। সম্প্রতি তারা ক্রিকেট কানাডার সঙ্গে ২৫ বছরের চুক্তি করেছে। পাশাপাশি তারা দেশের তৃণমূল পর্যায়ে ক্রিকেটারদের উন্নয়নেও কাজ করবে। কাজ করবে অবকাঠামোগত উন্নয়নে। হাই পারফরম্যান্স টিমও গঠন করবে তারা। টরেন্টোতে একটি বিশ্বমানের ক্রিকেট স্টেডিয়ামও করে দিবে তারা। সব মিলিয়ে কানাডা যাতে ২০২৩ সালে বিশ্বকাপে খেলতে পারে সে লক্ষ্যে এগিয়ে যাবে।
মূলত কানাডায় ক্রিকেটকে আরো জনপ্রিয় করতেই এই উদ্যোগ। পাশাপাশি কানাডার সম্ভাবনাময় তরুণদের নিজেকে প্রমাণ করার একটি প্লাটফরম তৈরি করে দেওয়া। টুর্নামেন্টে বিভিন্ন স্থান থেকে দল থাকবে। তাদের ভৌগলিক অবস্থানের ভিত্তিতে নামকরণ করা হবে। প্রত্যেকটি দলে বাধ্যতামূলকভাবে চারজন কানাডার খেলোয়াড় থাকবে হবে। বাকিরা হবে আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়। তবে স্থানীয় খেলোয়াড়দের সেরা একাদশে খেলানোটা বাধ্যতামূলক থাকবে না।