আমাদের অর্থনীতির সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, জনগণ কেমন আছে, কী ধরনের পরিস্থিতির মধ্যদিয়ে যাচ্ছে, তেল, গ্যাস বা বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলে জনজীবনে কী ধরনের প্রভাব পড়বে তা নিয়ে তারা ভাবে বলে তো মনে হয় না। মানুষের স্বস্তির দিকে তাদের কোনো খেয়াল নেই। ব্যবসায়ী ও আন্তর্জাতিক শোষক গোষ্ঠীকর্তৃক প্রভাবিত হয়ে সরকার এ ধরনের জনবিরোধী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। কারণ দাম বাড়ালে তাদেরই লাভ। তারা বিনিয়োগকারী। অনেক বিনিয়োগ এদেশে রয়েছে তাদের।
ভারত, চীনসহ যারা এদেশে আসছে, তাদের জন্যই এই প্ল্যাটফরমটা রেইজ করে দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, জ্বালানি তেল ও গ্যাসের দাম বাড়লে জনগণের বারোটা বাজবে। পরিবহন ভাড়া বাড়বে। জনজীবনে বিরূপ প্রভাব পড়বে। অনেকবারই তো তেল, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। এমনিতেই আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হওয়ার ফলে জনজীবন দুর্বিষহ প্রায়। এলএনজির আমদানি ও বিশ্ব বাজারে তেলের দাম বাড়ার যুক্তি দেখিয়ে তেল ও গ্যাসের দাম বাড়ানোর যে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার তাতে জনজীবনে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
এক প্রশ্নের জবাবে এই জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বলেন, এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) আমদানির প্রয়োজন কেন পড়ল? আমাদের সাগরের নিচে প্রচুর গ্যাস রয়েছে। সেই গ্যাস উঠানোরও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। আন্তর্জাতিকভাবে সরকার আত্মসমর্পন করেছে। মিয়ানমার ওই গ্যাসটা তুলে নিচ্ছে। এই গ্যাস যদি তুলে নিয়ে যাওয়া হয় তাহলে আমাদের কূপগুলো অনেকদিন আর চলবে না। গ্যাস তো এরকমইÑ যেখান থেকে চাপ পড়বে সেখানে ওই গ্যাস চলে যাবে।
তিনি বলেন, আমাদের এখানে বিদ্যুৎ সংকট থাকতে হবে, ভারত এখানে পাওয়ার স্টেশন বসাবে। কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বসাতে হবে, কারণ ভারতকে ২০৩০ সালের মধ্যে কয়লাভিত্তিক স্টেশনগুলো বন্ধ করত হবে। ফলে ভারত এত কয়লা কোথায় নিবে? বাংলাদেশে! জ্বালানি ও বিদ্যুতের দাম যদি বেশি রাখা হয়, রেন্টাল বেশি পয়সা পাবে।