শিরোনাম
◈ আবারও রেকর্ড গড়ল স্বর্ণের দাম, ভরিতে বেড়েছে ৩ হাজার ৬৭৫ টাকা ◈ ভারতের নেপাল নীতিতে 'রিসেট বাটন' চাপলেন মোদি, শিক্ষা বাংলাদেশের কাছ থেকে ◈ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে বিএনপি ◈ প্রথমবারের মতো জাপানের রাজনৈতিক দলের নেতা হবে AI ◈ আফগানিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ ◈ ঢাকায় চীনের ভিসা অফিস ৮ দিন বন্ধ থাকবে ◈ রাশিয়া-কানাডা থেকে ৩৩২ কোটি টাকার সার কিনছে সরকার ◈ ধামরাইয়ে বিশেষ অভিযানে ৩১লাখ টাকার হেরোইন সহ গ্রেপ্তার ৩।  ◈ হ্যান্ডশেক বিতর্কে ৪৮ ঘণ্টা পর পাকিস্তানের অভিযোগ উড়িয়ে কড়া জবাব দি‌লো ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড ◈ বিশ্বকাপ বাছাই‌য়ে ইসরায়েলের বিরু‌দ্ধে ম্যাচের টিকিট বিক্রির টাকা ফিলিস্তিনে দান করবে নরওয়ে

প্রকাশিত : ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০৪:৪৯ সকাল
আপডেট : ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০৪:৪৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাংলা ভাষা শুদ্ধ করে লিখতে ও বলতে পারাও একটি যোগ্যতা

ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক : ’৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের যে চেতনা ছিল, বিভিন্নভাবে আমরা তার থেকে অনেক দূরে সরে যাচ্ছি। আমাদের দেশে সর্বস্তরে বাংলা ভাষাকে চালু করতে এখনো পারিনি। শিক্ষার মাধ্যম হিসেবেও সর্বস্তরে বাংলা ভাষা চালুর এখনো বাকি আছে। উচ্চ আদালতেও বাংলা ভাষা বাস্তবায়ন করা হয়নি। এমন অনেক ব্যর্থতাই আমাদের আছে। একই সাথে সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে যারা উচ্চ ও মধ্যবিত্ত পরিবার, তাদের মধ্যেও একটি বিষয় দেখা যায়।

তারা তাদের সন্তানকে অন্য ভাষা শিখায়। কিন্তু বাংলা ভাষা শুদ্ধভাবে লিখতে পারা, বলতে পারা শিখায় না। উপনেবেশিক পাকিস্তান আমলে আমরা যখন রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই বলে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করি, সে সময় চেতনা যতটা শাণিত ছিল, এখন মনে হচ্ছে স্বাধীন বাংলাদেশে সেটি নেই। এখন সব কিছু সহজ হয়ে গেছে। রাষ্ট্র ভাষা বাংলা, মাতৃভাষা বাংলাই আমরা সকল স্তরে প্রচলন করার সুবিধাজনক অবস্থানে আছি। কিন্তু আমাদের মধ্যে সেই চেতনাটি নেই। সেটি থেকে কেমন যেন দূরে সরে যাচ্ছি।

ভাষার মাসে আমাদের সবার উচিত হবে, আমাদের ভাষাটি যদি ১৯৫২ সালে যে চেতনা নিয়ে আমাদের ছাত্র জনতা জীবন দিয়ে গেছেন, যে চেতনা নিয়ে ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু তরুণ নেতা হয়েও রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবি নিয়ে আন্দোলন করে কারাবরণ করেছিলেন, আমরা যেন সেই চেতনায় ফিরে যাই। এই নিয়ে সরকারের যেটুকু করার দরকার সরকার তা করবে বলে আমি আশা করি। কিন্তু আমরা যারা বাংলা ভাষায় কথা বলি, আমাদের দায়িত্বই সবচেয়ে বেশি। কথা বলার সময় আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যেন, শুদ্ধ উচ্চারণ হয় এবং ইংরেজি বর্জন হয়।

লিখতে গেলেও শুদ্ধভাবে লিখতে হবে। আমাদের দেশের সর্বস্তরে বাংলা ভাষা চালু করার জন্য যে যেখানে আছি, শিক্ষক, ছাত্র, সাধারণ নাগরিক, চাকুরিজীবীরা যদি নিজ দায়িত্বটি পালন করি, তাহলে বাধা দেওয়ার কেউ নেই। এক সময় বাংলা ভাষা ব্যবহারের বাধা ছিল, এখন তো আর সেটি নেই। এখন আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে, এটিকে পালন করা। কিন্তু দায়িত্বটি আমরা সঠিকভাবে পালন করছি না। পরিবারের প্রধান হিসেবে মনে করছি, সন্তানকে ইংরেজি শিখাতে পারলে ভালো। কিন্তু বাংলাটিকে যে গুরুত্ব দিয়ে পড়াতে হবে সেটি বুঝি না।

বাংলাভাষা শুদ্ধ করে লিখতে ও বলতে পারাটিও একটি যোগ্যতা। সেটি আমরা ভুলে গেছি। তাই দেশের প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব হচ্ছে, বাংলা ভাষাকে এগিয়ে নেওয়া। কম্পিউটার বিজ্ঞানী, উদ্ভিদ বিজ্ঞানী, প্রযুক্তিবিদ তাদের উচিত হবে কম্পিউটারে বাংলা ভাষা যুক্ত করা। এক্ষেত্রে সরকারের চেয়ে প্রযুক্তিবিদদের দায়িত্ব বেশি। আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবেও আমাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে হবে।

পরিচিতি : সাবেক ভিসি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়/মতামত গ্রহণ : গাজী খায়রুল আলম/সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়