সাইদুর রহমান: পুরুষের জন্য খতনা করা আবশ্যক। শিআর তথা ইসলামের নির্দশনের একটি। তবে মহিলাদের খৎনা করা কোন আবশ্যকীয় বিষয় নয়। ইসলামে এর কোন বিশেষ মর্যাদাও নেই। সুন্নতও নয়। বরং হাদীসে নারীদের খতনা করাকে সম্মান ও মর্যাদার বিষয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে। চাইলে নারীরাও খতনা করতে পারে। এতে কোন বাধ্যবাধকতা নেই পুরুষের মত। করলে এটা জায়েজ হবে।
এজন্য এটাকে নিয়ে বাড়াবাড়ি করা কিছুতেই কাম্য নয়। ইতিহাসে পাওয়া যায়, তৎকালিন আরবে এটি প্রচলিত ছিল। আরবের পরিবেশ শুস্ক হওয়ার কারনে সেখানকার মহিলাদের জরায়ুর উপরিভাগ হতো খুবই রুক্ষ ও মোটা।
তাছাড়া সতিচ্ছদের পর্দা ছিন্ন না হলে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা ছিল না। তাই তৎকালিন আরবের লোকেরা সতি পর্দা ছিন্ন করার জন্য মহিলাদের খৎনা করার প্রথা চালু করে। রাসূল সা. যখন জানলেন যে, এটি করার দ্বারা মহিলাদের উপকার হয়, সেই সাথে পুরুষদের উপকার হয়, তাই তিনি এ বিষয়ে অতিরঞ্জন না করার আদেশ দিয়েছেন।
যেমন হাদীসে এসেছে যে, হযরত উম্মে আতিয়্যাহ আনসারী র থেকে বর্ণিত, মদীনার এক মহিলা নারীদের খৎনা করাতো। তখন তাকে রাসূল সা. বললেন, তুমি অতিরঞ্জন করো না। এটা নারীদের জন্য মর্যাদার বিষয় এবং পুরুষের নিকট প্রিয়। (আবু দাউদ, হাদীস নং-৫২৭১, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-১৭৩৩৮)
অন্য আরেক হাদীসে এসেছে যে, হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত।
রাসূল সা. ইরশাদ করেছেন, খৎনা পুরুষের জন্য সুন্নত আর মহিলাদের জন্য মর্যাদা। (সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-১৭৩৪৪, মুসনাদে আহমাদ-৫/৭৫,কানযুল উম্মাল, হাদীস নং-৪৫৩০৫)
তবে প্রয়োজনে মহিলাদের খৎনা করা উত্তম কিন্তু সুন্নত বা জরুরি কিছু নয়। তাছাড়া যদি মহিলাদের শারীরিক ক্ষতির সম্ভাবনা থাকলে মহিলাদের খৎনা করতে বাধ্য করা যাবে না।