শুভ মাহফুজ : বাংলাদেশে এখন প্রায় ১৫ লক্ষ ক্যান্সারের রোগী আছে। এর মধ্যে প্রতিবছরই নতুন করে ২লক্ষ ক্যান্সার রোগী যুক্ত হচ্ছে। এসোসিয়েশন অব নিউট্রেশনিস্ট এন্ড ডায়েটিশিয়ানের ভাইস প্রেসিডেন্ট ডা. তামান্না চৌধুরীর মতে, বর্তমান সময়ে জীবনযাত্রার অনিয়মের কারণে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তিনি বলেন, বর্তমান আধুুনিক জীবনযাত্রায় প্রযুক্তির অধিক ব্যবহার, আহার ও নিদ্রায় অনিয়ম, অতিরিক্ত জাঙ্ক ফুড খাওয়া ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশ্ব ক্যান্সার দিবস উপলক্ষে টিভিএনএর সাথে এক সাক্ষাতকারে এভাবেই ডা. তামান্না চৌধুরী তার অভিমত প্রকাশ করেন।
ডা. তামান্না চৌধুরী বলেন, ক্যান্সারের চিকিৎসায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন হলো রোগীর মনের জোর। রোগী তার মনের শক্তির সাহায্যে ক্যান্সার থেকে মুক্ত হয়ে সুস্থ জীবন যাপন করতে পারে বলে তিনি মনে করেন। ক্যান্সার প্রতিরোধে সচেতনতা খুবই জরুরী। মানুষ যদি সচেতনভাবে দৈনন্দিন জীবনযাত্রা পরিচালনা করে, তবে ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেক কমে আসবে। এছাড়া সরকার যদি ক্যান্সারের সচেতনতামূলক প্রচারণার উদ্যোগ গ্রহণ করে, তবে সাধারণ মানুষ ক্যান্সার সম্পর্কে অধিক সচেতন হওয়ার সুযোগ পাবে। এক্ষেত্রে, সড়ক ও বিভিন্ন স্থাপনায় বিজ্ঞাপন, মোবাইলে মেসেজ ইত্যাদি বিভিন্নভাবে সচেতনতা কার্যক্রম চালানো যেতে পারে বলে অভিমত প্রকাশ করেন তিনি।
বাংলাদেশে ক্যান্সার চিকিৎসার পরিস্থিতি সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে ডা. তামান্না চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ এখন ক্যান্সারের চিকিৎসায় অনেক এগিয়ে গেছে। প্রযুক্তিগত কিছু দুর্বলতা থাকলেও চিকিৎসাগত পরামর্শ ও সেবার দিক হতে ক্যান্সার চিকিৎসায় বাংলাদেশ উন্নতি করেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি আরো বলেন, আগে ক্যান্সার হলেই যেমন রোগীকে বিদেশে নেওয়ার একটা প্রবণতা ছিলো, এখন সেই প্রবণতা অনেক কমে এসেছে।
আপনার মতামত লিখুন :