শিরোনাম
◈ সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ: অধস্তন আদালতের বিচারকদের বদলি-পদোন্নতির ক্ষমতা পাচ্ছেন সুপ্রিম কোর্ট ◈ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর পদত্যাগের গুঞ্জন, যা জানা গেল ◈ ‘সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে হতে পারে ড্রোন ব্যবহার’ ◈ হাসিনা সরকারের কিছু প্রাথমিক ‘ভুল’ ছিল: সজীব ওয়াজেদ জয় ◈ এনসিপির কার্যালয়ের সামনে মধ্যরাতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ ◈ জোট বাড়ছে বিএনপির, এনসিপি ও গণঅধিকারের সঙ্গে চলছে সংলাপ ◈ শাশুড়ির ১২ লাখ টাকার কিলারে খুন হন সালমান শাহ! ◈ এক ম্যাচ হাতে রেখেই অস্ট্রেলিয়ার কা‌ছে সিরিজ হার‌লো ভারত ◈ শ্রম আইন সংশোধন ও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ চূড়ান্ত অনুমোদন ◈ আমিরাতে আটক বাংলাদেশিদের মুক্তির অনুরোধে চিঠি পাঠাবেন ড. ইউনূস

প্রকাশিত : ২৮ জানুয়ারী, ২০১৮, ০২:০৭ রাত
আপডেট : ২৮ জানুয়ারী, ২০১৮, ০২:০৭ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

প্রত্যাবাসন ফরমকে রোহিঙ্গাদের জন্য ফাঁদ বলছেন বিশেষজ্ঞরা

ডেস্ক রিপোর্ট: মিয়ানমারের দেয়া নতুন প্রত্যাবাসন ফরমকে রোহিঙ্গাদের জন্য ফাঁদ হিসেবে দেখছেন, শরণার্থী বিশেষজ্ঞ আসিফ মুনির। তার মতে, দীর্ঘ ফরম পূরণের নামে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াকে ঝুলিয়ে দেবার ফন্দিতে মেতেছে, মিয়ানমার। যদিও বাংলাদেশের শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার আবুল কালামের দাবি, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর কাজ সময় মতোই এগিয়ে যাবে।

রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনার সময় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যে তালিকা দেয়া হয়, তা নিতে অস্বীকার করে মিয়ানমার। তারা ৫ পাতার একটি নতুন ভেরিফিকেশন ফর্ম তুলে দেয়। পাশাপাশি দাবি করে, একটি পরিবারকে একটি ইউনিট হিসেবে গণনা করা হবে।

৫ পাতার এই ফর্মে রয়েছে পরিবারের কর্ত্যব্যক্তির ছবি, সিরিয়াল নম্বর, তারিখ, লিঙ্গ, জন্মস্থান, বাবা মায়ের নাম, শনাক্তকরণ চিহ্নসহ পরিবার প্রধানের ১৮টি এবং সদস্যদের ১১টি তথ্য। ফর্মের নিচের দিকে লেখা রয়েছে, নিজ ইচ্ছায় তারা মিয়ানমারের সব আইন মেনে দেশটিতে প্রবেশ করবেন। ফলে পুরো এই প্রক্রিয়াকে রোহিঙ্গাদের জন্য একটি ফাঁদ বলে মন্তব্য করছেন শরণার্থী বিশেষজ্ঞ আসিফ মুনির।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের যেসব তথ্য সংগ্রহ করেছে, তা কি শুধুই সময়ক্ষেপণ? আসিফ মুনির বলছেন, জটিল এই ফর্ম পূরণের নামে মিয়ানমার নতুন করে সময় নষ্ট করবে। ফলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের পুরো প্রক্রিয়াটিই ঝুলে যাবে।

তবে শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের দাবি, সবকিছু মাথায় রেখেই এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সময় মতোই রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো শুরু হবে।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে গত বছরের অক্টোবরে শুরু হয় যাচাই-বাছাই। এ পর্যন্ত সাড়ে ১০ লাখ রোহিঙ্গার বায়োমেট্রিক নিবন্ধন শেষ হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়