নাহিদ হোসেন, নাটোর: নাটোরের লালপুরে আগের তুলনায় বেড়ে চলেছে তামাকের চাষ। দিন দিন আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে তামাক চাষ।
সিগারেট কোম্পানির উৎসাহ পেয়েই দিন দিন ধানি ও তিন ফসলি জমিতে তামাক চাষ করছেন বলে জানা যায় । সরকারি বিধি নিষেধের জোরদার না থাকার কারণেই ফসলি জমিতে খাদ্য শস্য বাদ দিয়ে তামাক চাষ করছেন কৃষকরা।
কৃষক পরিবারে তামাকের ক্ষতিকর প্রভাবের কারণে রোগব্যাধি বেড়ে যাওয়ায় অনেক কৃষক তামাক চাষ বন্ধ দিলেও তার থেকে দ্বিগুন চাষী কম সময়ে বেশি মুনাফার লোভে তামাক চাষে ঝুকছেন। তবে নিজস্ব জমির থেকে লিজ নিয়ে স্বল্প আয়ের কৃষকরা অতি লাভের আশায় তামাক চাষ করছেন।
তামাক চাষ থেকে বিরত থাকা অনেক চাষী বলেন, সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতে তামাকের চারা রোপণ করে সামান্য পরিচর্যা করলে পরিপক্ক তামাক উৎপাদন করা যায়। এতে বেশ ভালো আয় করা যায়। কিন্তু তামাক পাতা যখন পরিপক্ক হয় তখন তা তুলে বাড়িতে রাখা হয়।
এসময় শুকনো তামাকের গন্ধে একজন সুস্থ মানুষও অসুস্থ হয়ে পড়বেন। এছাড়াও তামাকের গন্ধে ক্যান্সারসহ অনেক ধরণের রোগ ব্যাধি আক্রান্ত হয়। এসময় শিশু ও নারীরা তামাক পাতা শুকানোর কাজ করে বলে তারা এসব রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভানা বেশি থাকে।
কাশিমপুর গ্রামের তামাক চাষী আইরুল সরকার বলেন, তামাক চাষে কম খরচেই অল্প সময়েই অধিক লাভ হয়। আমি এ বছর ৭ বিঘা জমিতে তামাক চাষ করেছি। একই গ্রামের নুর ইসলাম ৮বিঘা ও রয়েল ৬ বিঘা জমিতে তামাক চাষ করেছেন। তারা অধিক লাভের আশায় এই তামাক চাষে ঝুঁকছেন বলে জানান। নওদাপাড়া গ্রামের শাহিন ৩বিঘা ও মুজদার ৪ বিঘা জমিতে তামাক চাষ করেছেন।
এ বিষয়ে লালপুর উপজলা কৃষি অফিসার হাবিবুর ইসলাম খান বলেন, লালপুরে আগে তেমন একটা তামাক চাষ হতোনা। এখন প্রতিবছর প্রায় ৬০ থেকে ৬৫ হেক্টর জমিতে তামাক চাষ হচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন সিগারেট কোম্পানির উৎসাহে কৃষকরা তামাক চাষে ঝুঁকছেন। কোম্পানির লোকজন তামাক চাষের জন্য কৃষকদের আর্থিক সহযোগিতা করে থাকে। এছাড়াও তামাক চাষের পর চড়া দামে তা ক্রয় করে। আর সে কারনেই অতি লোভে পড়ে কিছু কৃষক উর্বর ধানি জমিতে তামাকের চাষ করছে। এতে জমির উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে। আমরা সবসময় প্রতিটি এলাকায় তামাক চাষ না করার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি। এছাড়াও তামাক চাষের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে অবহিত করছি।সম্পাদনা: উমর ফারুক রকি