সান্দ্রা নন্দিনী: ঝংঝং ও হুয়াহুয়া নামের দু’টি বানরকে ক্লোনের মাধ্যমে জন্ম দিয়েছে চীন। চীনা গবেষণাগারে ডলি নামের ভেড়াকে যে পদ্ধতিতে ক্লোন করা হয়েছিল, মূলত ওই একই প্রযুক্তি ব্যবহার করেই জন্ম দেওয়া হয়েছে বানর দু’টিকে। গবেষকরা বলছেন, জিনগত মিল থাকায় বানরের সংখ্যা বাড়ানোর মধ্য দিয়ে মানুষের নানা রোগের গবেষণা অনেকদূর এগিয়ে যাবে।
অপরদিকে, ধীরে ধীরে মানব-ক্লোনের কাছাকাছি চলে যাওয়ার বিষয়টি আদতে কতখানি নৈতিক, সেটি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সমালোচকরা। তবে গবেষকরা বলছেন, তারা মার্কিন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ’র প্রাণী গবেষণাসংক্রান্ত যাবতীয় নির্দেশনা মেনেই চলছেন।
চাইনিজ একাডেমি অব সায়েন্স ইনস্টিটিউট’এ কর্মরত কিয়াং সান বলেন, বানরের ক্লোনের মাধ্যমে জিনগত রোগ যেমন, কয়েক ধরণের ক্যান্সারের সফল নিরীক্ষা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, নতুন এই প্রযুক্তির মাধ্যমে জন্ম নেওয়া বানরগুলো জীববিজ্ঞান-সম্পর্কিত গবেষণায় নতুন দিগন্ত খুলে দেবে।
প্রসঙ্গত, ঝংঝং আট এবং হুয়াহুয়া ছয় সপ্তাহ আগে জন্ম নিয়েছে। জানা গেছে, তাদের আপাতত স্বাভাবিক খাবার খেতে দেওয়া হচ্ছে। গবেষকরা আশা করছেন, এমাসের মধ্যেই একই পদ্ধতিতে আরও কয়েকটি বানরের জন্ম দেবেন তারা। বিবিসি
আপনার মতামত লিখুন :