শিরোনাম
◈ যুদ্ধ বন্ধের শর্তেই ইসরায়েলি জিম্মিদের ছাড়বে হামাস ◈ হরলিক্স আর স্বাস্থ্যকর পানীয় নয়  ◈ বাংলাদেশে চিকিৎসা সুবিধায় থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী ◈ থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে  প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ আন্তরিক অভ্যর্থনা ◈ যে কোনো ভিসাধারী পবিত্র ওমরাহ পালন করতে পারবেন  ◈ পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফে'র গুলিতে বাংলাদেশি নিহত ◈  কমবে তাপমাত্রা, মে মাসেই কালবৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টির সম্ভাবনা ◈ বাংলাদেশ-চীন সামরিক মহড়া মে মাসে, নজর রাখবে ভারত ◈ দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু: চুয়েটে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত, যান চলাচল শুরু ◈ বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক ভারত, চীন বা রাশিয়ার মাধ্যমে পরিচালিত নয়: মার্কিন কর্মকর্তা

প্রকাশিত : ২৩ জানুয়ারী, ২০১৮, ০৫:৫৭ সকাল
আপডেট : ২৩ জানুয়ারী, ২০১৮, ০৫:৫৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কোরআনের দৃষ্টিতে মৃত্যুকালীন তাওবা

মুহাম্মাদ আবু আখতার : আমাদের সমাজে অনেকে এ আশায় পাপ করে যে, মৃত্যুর আগে তাওবা করে ভালো মানুষ হয়ে যাবে কিন্তু তাওবা ভাগ্যে জুটবে কিনা কিংবা তাওবার সুযোগ হলেও তা কবুল হবে কিনা এ কথা চিন্তা করে না আবার অনেকে তাওবা করা মৃত্যুর পুর্ব মহুর্তের কাজ বলে মনে করে তাই অনেক এলাকায় দেখা যায়, কেউ মৃত্যুর নিকটবর্তী হলে তাওবা পড়ার জন্য হুজুর ডেকে আনা হয় অথচ তার সারা জীবন কেটেছে আল্লাহর নাফরমানীতে সুস্থাবস্থায় কখনো তাওবা করার খেয়ালও হয় নি তাদের অবস্থা ফেরআউনের মত ফেরআউনের সারাজীবন কেটেছে আল্লাহর নাফরমানীতে মুসা (আ) এর মুজিজা দেখেও ঈমান কবুল করে নি বরং মুসা (আ) কে যাদুকর বলে হেয় করেছিল আর বনী ইসরাইলের যারা ঈমান এনেছিল তাদের উপর অবর্ণনীয় নির্যাতন চালিয়েছিল কিন্তু যখন নীলনদে ডুবে মৃত্যুর উপক্রম হয় তখন সে তার ঈমানের কথা ঘোষণা দেয় কিন্তু এসময় তার ঈমান গ্রহণযোগ্য হয় নিআল্লাহ তায়ালা এ ঘটনা বর্ণনা করে বলেন,

"আর বনী-ইসরাঈলকে আমি নদী পার করে দিয়েছি। তারপর তাদের পশ্চাদ্ধাবন করেছে ফেরাউন ও তার সেনাবাহিনী, দুরাচার ও বাড়াবাড়ির উদ্দেশে। এমনকি যখন তারা ডুবতে আরম্ভ করল, তখন সে বলল, এবার বিশ্বাস করে নিচ্ছি যে, তিনি ছাড়া কোন মা’বুদ নেই যার উপর ঈমান এনেছে বনী-ইসরাঈল। বস্তুতঃ আমিও তাঁরই অনুগতদের অন্তর্ভুক্ত। (আল্লাহ তার এ কথার জবাবে বলেন)

এখন একথা বলছ! অথচ তুমি ইতিপূর্বে না-ফরমানী করছিলে এবং পথভ্রষ্টদেরই অন্তর্ভুক্ত ছিলে।(সুরা ইউনুসঃ ৯০-৯১)
তাওবার ক্ষেত্রে ইসলামের মূলনীতি বর্ণনা করে আল্লাহ তায়ালা বলেন,"অবশ্যই আল্লাহ তাদের তাওবা কবুল করবেন, যারা ভূলবশতঃ মন্দ কাজ করে, অতঃপর অনতিবিলম্বে তাওবা করে; এরাই হল সেসব লোক যাদেরকে আল্লাহ ক্ষমা করে দেন। আল্লাহ মহাজ্ঞানী, মহাবিজ্ঞ। আর এমন লোকদের জন্য কোন তাওবা নেই, যারা মন্দ কাজ করতেই থাকে, এমন কি যখন তাদের কারো মাথার উপর মৃত্যু উপস্থিত হয়, তখন বলতে থাকেঃ আমি এখন তাওবা করছি। আর তাওবা নেই তাদের জন্য, যারা কুফরী অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। আমি তাদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছি।
(সুরা নিসাঃ ১৭-১৮)

উপরোক্ত আয়াত দুটি অনুযায়ী, যারা পাপ করার পর মৃত্যু আসার আগে অনতিবলম্বে তাওবা করবে আল্লাহ তায়ালা তাদের তাওবা কবুল করবেন কিন্তু যারা সারা জীবন পাপ করার পর মৃত্যুর মুখোমুখী হওয়ার সময় তাওবা করে কিংবা কুফরি অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে তাদের তাওবা আল্লাহ তায়ালা কবুল করবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন সুতরাং যারা মৃত্যুর আগে তাওবা করার আশায় যৌবনকালে আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগী না করে বিভিন্ন পাপ কাজে লিপ্ত হয় তারা শয়তানের কঠিন ধোঁকায় পড়ে আছে কুরআন হাদীস হতে শিক্ষা নিয়ে অতি শীঘ্রই তাওবা করে আল্লাহর পথে ফিরে আসা তাদের একান্ত কর্তব্য।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়