জুবায়ের সানি : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রক্টরকে অবরুদ্ধ করে রাখা ও প্রক্টর অফিস ভাংচুরের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৫০ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে গতকাল বৃহস্পতিবার টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা। এ সময় অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহার ও প্রক্টর অধ্যাপক ড.গোলাম রব্বানীর পদত্যাগ দাবি করে তারা।
গত বৃহস্পতিবার রাতে প্রক্টর কতৃক মামলা করার খবর প্রকাশ হওয়ার পর সাড়ে ১১টায় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে শিক্ষার্থীরা। ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন বাম সংগঠনের নেতারাও মিছিলে উপস্থিত ছিলেন। টিএসসি থেকে মিছিলটি শুরু করে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আকতারুজ্জামানের বাস ভবনের সামনে গিয়ে অবস্থান নেয় তারা। সমাবেশ শেষে রাত ১টা থেকে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের সামনে দুইজন ছাত্র ‘আমিই আন্দোলকারী, আমাকে গ্রেফতার কর’ নামের প্লাাকার্ড নিয়ে নিজেদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। সকালে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় আরও ২০-২৫ জন শিক্ষার্থী।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী মাসুদ আল মাহদী বলেন, ‘আমাদের আগের তিনটি দাবির সঙ্গে নতুন দাবি যুক্ত হয়েছে, সেটি হচ্ছে প্রক্টরের পদত্যাগ। ছাত্রীদের ওপর যৌন নিপীড়নের বিচার চাইতে গিয়ে উল্টো আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধেই মামলা করা হয়েছে, এটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ব্যর্থতার চরম বহিঃপ্রকাশ। প্রক্টর পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।’
উল্লেখ্য, গত সোমবার ঢাবির অধিভুক্ত রাজধানীর নতুন সাত সরকারি কলেজ বাতিলের দাবিতে কর্মসূচি পালন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় আন্দোলনকারী ছাত্রীদের উত্ত্যক্তকরণ, আন্দোলনকারীদের সমন্বয়ককে উপাচার্যের কার্যালয়ে মারধর এবং সাংবাদিকদের হেনস্তার অভিযোগ ওঠে কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনার প্রতিবাদে গত বুধবার ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ নেতাদের বিচার চেয়ে প্রক্টরের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে তারা প্রক্টর কার্যালয়ের সামনের গেট ভাঙচুর করে। এই ঘটনায় শাহবাগ থানায় অজ্ঞাতনামা ৫০ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী। যার পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল দিনভর রাজু ভাষ্কর্যে দিনভর অবস্থান কর্মসূচি পালন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
আপনার মতামত লিখুন :