আতিকুল আলম : প্রকৃতির সকল সৌন্দর্য দিয়ে সাজানো ছিলো গোটা এলাকা। প্রকৃতির মনোমুগ্ধকর দৃশ্য উপভোগ ও অজানা গাছ গাছালি চিনতে হাজারো পর্যটকের ভিড় লেগেই থাকতো। এই শীত মৌসুমে পিকনিক পার্টির সদস্যদের পিকনিক স্পটের জায়গা বাছাই করতে আগাম অনুমতি নিতে হতো। এ দৃশ্য ছিলো কুয়াকাটা ইকোপার্কের। মাত্র ১১ বছরে সেই প্রাকৃতিক স্বর্গোদ্যান এখন শ্মশানপুরী। প্রকৃতির সকল সৌন্দর্যই গিলে খেয়েছে প্রাকৃতিক দূর্যোগ ও রাক্ষুসে সাগরের ভাঙন।
গত ১১ বছরে পার্কটির মূল রাস্তাসহ স্থাপনা এখনও সংস্কার না হওয়ায় পার্কটি সাগরের ঢেউয়ের তান্ডবে বিলীন হওয়ার পথে। ইতিমধ্যে সাগর গর্ভে চলে গেছে ইকোপার্কের বিস্তীর্ণ ঝাউ বাগান সহ বিভিন্ন স্থাপনা। গত বর্ষা মৌসুমে শেষ স্থাপনাগুলোও বিলীন হওয়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে বনকর্মকর্তাসহ স্থানীয় গ্রামবাসী এবং পর্যটকরা।
দায়িত্বরত বন কর্মকর্তারা জানালেন সাগর থেকে ইকোপার্কের দূরত্ব মাত্র ২৫/৩০ গজ। সাগরের জোয়ারে পার্কের পানির ঢেউ আছড়ে পড়ায় মৌসুমের শুরুতেই ভাঙন শুরু হয়।
পটুয়াখালীর কলাপাড়ার পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটার জিরো পয়েন্ট থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার পূর্বে ইকোপার্কটির অবস্থান। ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বরে সিডর এবং পরবর্তীতে আইলার কারণে ইকোপার্কে ব্যাপক ক্ষতি হয় । কিন্তু এরপর আর ইকোপার্ক রক্ষায় কোনো প্রকল্প অনুমোদন হয়নি। সূত্র : আমাদের অর্থনীতি