সাইদুর রহমান: প্রত্যেক নবীকে আল্লাহ কিছু মুজিযা বা অলৌকিক বিষয় দান করেছেন। এসব মুজিযা নবী ব্যতিত সাধারণ মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। সাধারণত জাদু হিসেবে যা দেখানো হয় মূলত এগুলো চোখের ভেল্কি। আর মুজিযা বাস্তবসম্মত। হযরত মুসা আ. স্বীয় বগলে হাত ঢুকানোর পর বের করে আনলে হাত আলোকিত হয়ে উঠতো। যা সাধারণ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করত। হযরত দাউদ আ. স্বীয় হাত দ্বারা লোহা ধরলে মোমের মত তা নরম হয়ে যেত। তিনি লোহা দিয়ে লৌহবর্ম বানাতেন।
আমাদের প্রিয় নবীজি সা. কেও আল্লাহ অনেক মুজিযা দিয়েছেন। এরমধ্যে একটি হলো, অযুর পানি স্বল্প থাকায় সাহাবীরা ওযু করতে পারছিলেন না। অত:পর নবী সা. পানিতে হাত মোবারক রাখলে হাত থেকে পানি উদ্বেলিত হয়।
এ সর্ম্পকে হাদীসে এসেছে, বা আনাস মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দেখলাম, তখন আসরের সালাতের সময় হয়ে গিয়েছিল আর লোকেরা অযুর পানি খুজছিল কিন্তু তারা তা পেল না। এ সময় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট কিছু অযুর পানি আনা হল। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সে পানির পাত্রে তাঁর হাত মোবারক রেখে দিলেন এবং লোকদের তা থেকে অযু করতে বললেন, রাবী বলেন। আমি দেখলাম, পানি তাঁর অাঙুলসমূহের নিচ থেকে উদ্বেলিত হয়ে বেবিয়ে আসছে। তখন লোকেরা অযু করল, এমন কি তাদের শেষ ব্যক্তি পর্যন্ত সকলেই অযু করল।
মুসলিম হাদীস নং ৫৭৪৩ অন্য আরেক হাদীসে এসেছে আনাস ইবনু মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তার সাহাবীগণ 'যাওরা' নামক স্থানে ছিলেন। রাবী বলেন, 'যাওরা' হল মদিনার বাজার এবং মসজিদের সেখানকার নিকটে। তখন তিনি একটি পেয়ালা আনতে বললেন, যাতে সামান্য পানি ছিল। তিনি তাঁর (হাতের) পাঞ্জা তাতে রাখলেন। তখন তাঁর অাঙুলসমূহের মাঝ থেকে (পানি) উথলে বের হতে লাগল আর তাঁর সাহাবীগণ সকলেই অযু করলেন।
বর্ণনাকারী [কাতাদা (রহ.)] বলেন, আমি জিজ্ঞাসা করলাম, হে আবূ হামযা (রা.) তাঁরা কতজন ছিলেন? বললেন, তাঁরা ছিলেন তিনশ' জনের মত। মুসলিম হাদীস নং ৫৭৪৪