ইমরুল শাহেদ : পাকিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে চীনকে অনুরোধ করেছে যে, তারা যেন পাকিস্তানের খাদ্যপণ্য চীনের বাজারে উৎসাহিত করেন। তাতে চীন-পাকিস্তান ইকোনোমিক করিডোর (সিপিইসি) সম্পন্ন হলে তাতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে উন্নতি ঘটবে এবং করিডোরের ভবিষ্যৎ প্রশাসনের জন্যও সুবিধাজনক হবে।
মঙ্গলবার এই অনুরোধপত্র ইসলামাবাদে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও জিংকে দিয়েছেন পাকিস্তানের প্লানিং কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান সার্তাজ আজিজ।
একটি সূত্র জানিয়েছে, সার্তার আজিজ চীনা রাষ্ট্রদূতকে বলেছেন চীন এখন পাকিস্তান থেকে মাত্র কয়েকটি পণ্যই আমদানি করে থাকে। চীনের উচিত পাকিস্তানকে আরও বেশি রফতানি বাড়ানোর সুযোগ দেওয়া।
তিনি বলেন, সিপিইসি সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলো শিগগিরই শেষ হবে। এখন সেগুলোর ভবিষ্যৎ প্রশাসনের প্রতি নজর দেওয়া প্রয়োজন। ভবিষ্যৎ জটিলতা এড়িয়ে যাতে সময় নষ্ট না করেই নিয়ম নীতি কার্যকর হয়। ‘সিপিইসি প্রকল্পের ধাতব সামগ্রী ইতোমধ্যেই বসানো হয়ে গেছে। কিন্তু এখন আমাদের সফটওয়্যার খাতের দিকে নজর দেওয়া দরকার। কারণ এর সঙ্গে বিভিন্ন নীতি, কার্যক্রম এবং কৌশলের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট রয়েছে।’ সার্তাজ আজিজ বলেছেন, তাদের এখনকার কাজ হলো শিল্প উদ্যান তৈরি করা।
তিনি রাষ্ট্রদূতকে বলেছেন, তারা যেন কয়েকজন রফতানি বিশেষজ্ঞকে ইসলামাবাদ পাঠান। তারা পাকিস্তানের রফতানি নিয়ম-নীতির বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করে দেখতে পারবেন। কারণ এখন পাকিস্তানের হাতে স্বল্প কিছু পণ্য আছে যা চীনের বাজারে সুযোগ পেতে পারে। সার্তাজ আজিজ বলেন, পাকিস্তানের রফতানি খাত এখনও এমন কোনো পর্যায়ে পৌঁছেনি, যা রফতানি করার পরও উদ্বৃত্ত থাকতে পারে বা চীনের বাজারে সাংঘর্ষিক হতে পারে।
চীনের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, পাকিস্তানের উদ্বৃত্ত চিনিই কেবল চীনের বাজারে প্রবেশ করতে পারে। সার্তাজ তখন বলেছেন শুধু চিনি নয়, চীন অন্যান্য সামগ্রী যেমন মাংস, মাছ, ফল এবং শাক-সবজি ইত্যাদিও তাদের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানোর জন্য নিয়ে যেতে পারেন। সূত্র : ডন